Howrah BJP: বৈঠকে লোক আসে না, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ‘খামতি’ স্বীকার BJP জেলা নেতৃত্বের: সূত্র
Howrah: কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই সাংগঠনিক দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে নিলেন জেলার নেতারা। সূত্রের খবর, জেলার নেতারা নাকি জানিয়েছেন, দলীয় বৈঠক ডাকলে লোকই আসে না।
হাওড়া: বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির (BJP) যে উল্কাগতির উত্থান ঘটেছিল, পরবর্তীতে কলকাতা পুরনিগমের ভোটে বা রাজ্যে ১০৪ পুরসভার ভোটে তার বিশেষ প্রতিফলন দেখা যায়নি। সামনে আবার একটি বড় নির্বাচন। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের যখন পঞ্চায়েতে রণকৌশল তৈরির পালা, যখন দলের সাংগঠনিক শক্তি-প্রদর্শনের পালা, সেই সময় দলের অন্দরেই যেন ঘুরে ফিরে আসছে সাংগঠনিক অস্বস্তি। মঙ্গলবার হাওড়ায় (Howrah) বিজেপির সাংগঠনিক সভা ছিল। বিশেষ ওই সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন অমিত মালব্য এবং সুনীল বনসলরা। আর কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই সাংগঠনিক দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে নিলেন জেলার নেতারা। সূত্রের খবর, জেলার নেতারা নাকি জানিয়েছেন, দলীয় বৈঠক ডাকলে লোকই আসে না।
মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির হাওড়া সদর, হাওড়া গ্রামীণ ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও নেতৃত্বরা। রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল এবং সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সংগঠনের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির জেলার নেতারা। সভা-সমাবেশ ডাকলে সেভাবে লোক হচ্ছে না। জেলা ও মণ্ডল স্তরে দলের সাংগঠনিক বৈঠকেও কর্মীদের সেভাবে দেখা মিলছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনের এই অবস্থা ভাবাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।
এদিন বৈঠকে জেলা নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই স্বীকার করেন, দলের বৈঠক ডাকলে কখনও ৫০ শতাংশ, খুব বেশি হলে ৬০ শতাংশ লোক আসছে। দলীয় সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। আর বৈঠকে এ কথা শুনে সুনীল বনসলের প্রশ্ন, ‘কেন বাকিরা আসছেন না? ঠিকমতো তাদের খবর দেন না তাহলে?’ সবাইকে নিয়ে চলার পথে খামতি থাকছে নেতৃত্বের, এটা স্পষ্ট করে দিয়ে বৈঠকে জেলা নেতাদের উদ্দেশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নতুন যিনি জেলা সভাপতি হচ্ছেন, তিনি তাঁর পছন্দ মতো টিম করে নেন। সবাইকে জায়গা দেন না। এসব চলবে না।”