President’s Award: বাংলা থেকে এবার জাতীয় শিক্ষকের সম্মান পাচ্ছেন একজনই, হাওড়ার শিক্ষক চন্দন মিশ্র

President's Award: প্রথমে শিক্ষকতা করতেন কলকাতার খিদিরপুর অ্যাকাডেমিতে। চার বছর সেখানে পড়ান। এরপর চলে যান হাওড়ার বাগনান কুলগাছিয়া কামিনা হাইস্কুলে।

President's Award: বাংলা থেকে এবার জাতীয় শিক্ষকের সম্মান পাচ্ছেন একজনই,  হাওড়ার শিক্ষক চন্দন মিশ্র
প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2023 | 5:14 PM

হাওড়া: রাষ্ট্রপতি সম্মান পাচ্ছেন হাওড়ার নিশ্চিন্দার শিক্ষক চন্দন মিশ্র। ‘জাতীয় শিক্ষক সম্মান’ প্রাপক হিসাবে তাঁর নাম মনোনীত হয়েছে এ বছর। হাওড়ার নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষক তিনি। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি ভবনে এই সম্মান প্রদান করা হবে। এ বছর জাতীয় শিক্ষক সম্মান প্রাপক হিসাবে দেশের ৫০ জন শিক্ষকের নাম মনোনীত হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন চন্দনবাবুও। বাংলা থেকে এবছর একমাত্র তিনিই জাতীয় শিক্ষকের সম্মান পাচ্ছেন। তিনি জানান, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে দিল্লিতে যেতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৫ তারিখ তাঁর হাতে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। আর সেই পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

এই চিঠি আসার পর থেকেই আপ্লুত মিশ্র পরিবার। খুশির হাওয়া নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিতেও। নিঃসন্দেহে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এমন সম্মান সংশ্লিষ্ট স্কুলের জন্যও অত্যন্ত গর্বের। ২২ বছর ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত চন্দন মিশ্র। এর আগে ২০২২ সালে রাজ্য সরকারের তরফেও সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে। গত বছর রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয় চন্দন মিশ্রকে। এক বছর পর এবার জাতীয় সম্মান।

বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা। এরপর স্কটিশ চার্চ থেকে উচ্চশিক্ষা। এরপর বিএড করেন তিনি। ২০০১ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন বরানগরের বাসিন্দা চন্দন মিশ্র। প্রথমে শিক্ষকতা করতেন কলকাতার খিদিরপুর অ্যাকাডেমিতে। চার বছর সেখানে পড়ান। এরপর চলে যান হাওড়ার বাগনান কুলগাছিয়া কামিনা হাইস্কুলে। টানা ১০ বছর সেখানকার শিক্ষক ছিলেন চন্দনবাবু। এরপর নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকতা শুরু। অন্যান্য শিক্ষকদের মতো নিজেকেও চন্দনবাবু মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবেই ভাবতে ভালবাসেন। পুঁথিগত শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রত্যেক পড়ুয়াকে ভাল মানুষ হওয়ার পাঠও সবসময় দিয়ে যান এই শিক্ষক।