হায় হায় করে উঠলেন সবাই, হাওড়ায় চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়লেন যাত্রী! তারপর…
Train Accident: স্টেশনে (Howrah) পৌঁছতে দেরি হয়েছিল। যখন পৌঁছলেন, তখন ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। ব্যাগ হাতে রুদ্ধশ্বাসে দৌড় দিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটলেন সেই যাত্রী। তার পরই ঘটে গেল বিপজ্জনক ঘটনা।
হাওড়া: স্টেশনে (Howrah) পৌঁছতে দেরি হয়েছিল। যখন পৌঁছলেন, তখন ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। ব্যাগ হাতে রুদ্ধশ্বাসে দৌড় দিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটলেন সেই যাত্রী। তার পরই ঘটে গেল বিপজ্জনক ঘটনা। মুহূর্তের মধ্যে হয়ে যেত পারত বড় বিপদ। তবে রেলকর্মীদের সহায়তায় প্রাণে বাঁচলেন সেই যাত্রী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া স্টেশনে।
মানুষ মানুষেরই জন্য তা আবারো তার প্রমাণ হল এদিন হাওড়া স্টেশনে। আরপিএফ (RPF) কর্মীদের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল এক যাত্রীর। ঠিক কী ঘটেছিল?
এদিন দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান এক যাত্রী। আটকে পড়েন প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের মধ্যবর্তী জায়গায়। চিৎকার করেন ওঠেন অন্য যাত্রীরা। এই দৃশ্য চোখে পড়ে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানদের। তাঁরা ছুটে যান ট্রেনের পিছু পিছু। অবশেষে সেই যাত্রীকে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করতে সক্ষম হন তাঁরা। রোমহর্ষক এই ঘটনাটি ঘটেছে এদিন দুপুর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ। হাওড়া স্টেশনের ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
আরপিএফ সূত্রে খবর, ০১৪৪৮ আপ হাওড়া-শক্তিকুঞ্জ এক্সপ্রেস যখন ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে ধীরে ধীরে স্টেশন থেকে বের হচ্ছিল সেই সময় এক যাত্রী ছুটতে থাকেন তার পিছন পিছন। এক হাতে ঢাউস ব্যাগ নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে ট্রেনের দরজার হ্যান্ডেল ধরেও ফেলেন। কিন্তু তারপর ভর সামলাতে পারেননি। আচমকা একটা পা পিছলে যায় তাঁর। পা পিছলে ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফাঁকে আটকে যান ওই ব্যক্তি।
এই দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন ট্রেনের অন্য যাত্রীরা। কিন্তু তাঁদের পক্ষেও তেমন কিছু করার ছিল না। ঠিক সেই সময় দেখা যায় নীতু কুমারী নামে এক আরপিএফ কর্মী ও তাঁর আরও দুই সহকর্মী ছুটে আসছেন সেই চলন্ত ট্রেনের দিকে। জীবনের বাজি রেখে তৎক্ষণাৎ সেই যাত্রীকে টেনে আনেন তাঁরা প্ল্যাটফর্মে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান সেই যাত্রী। এই ঘটনায় তিনি সেভাবে জখমও হননি বলে জানা গিয়েছে।
তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি প্লাটফর্মে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। এই ভিডিয়ো দেখে রেলের তরফ থেকে জীবনের বাজি রেখে যাত্রীকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য ওই তিন আরপিএফ কর্মীকে পুরস্কৃত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিন রেলকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তিও। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী মায়ের হাত ছাড়িয়ে মুম্বইয়ের ওয়াঙ্গানি স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্ম থেকে লাইনে পড়ে যায় বছর ছয়েকের একটি ছেলে। ওদিকে তখন ছুটে আসছিল সুপার ফাস্ট ট্রেন। সবাই হইহই করে ওঠেন। ঠিক তখনই এক যুবককে দেখা গেল দ্রুত গতিতে দৌড়ে যেতে। রেললাইন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে লাফিয়ে উঠে পড়লেন প্লাটফর্মে। তিনি রেলের পয়েন্টসম্যান ময়ূর শিল্কে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের এদিক-ওদিক হলে বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। কিন্তু তিনি সে সবের পরোয়া করেননি। ময়ূরের সাহসীকতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করে রেল কর্তৃপক্ষ।