Cyber Fraud: হাওড়ায় ফোন বাজলেই আতঙ্ক, সব জমানো টাকা এই গেল বুঝি!
Howrah: মনোরঞ্জন কোলে জানান, ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয়েছে থানায় জিডি করে এসে দরখাস্ত দিন। ১৭ সেপ্টেম্বর ও ১৮ সেপ্টেম্বর দুই দফায় টাকা খুইয়েছেন তিনি। মনোরঞ্জন বলেন, "স্ত্রী অসুস্থ। এইটুকুই তো পুঁজি আমাদের। ব্যাঙ্কে টাকা রেখেও যদি নিরাপত্তা না পাই, তা হলে আর কোথায় যাব?"
হাওড়া: এ যেন এক আতঙ্কের আবহ। মোবাইল ফোনের মেসেজ টোন বাজলেই চোখ মুখের ছবি বদলে যাচ্ছে। আতঙ্ক কাজ করছে, এই বুঝি ‘ডেবিট’ মেসেজ এল ব্যাঙ্কের। গত কয়েকদিনে হাওড়া গ্রামীণের একাধিক জায়গায় এই ছবি দেখা গিয়েছে। বায়োমেট্রিক নকল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারকরা। অভিযোগ উঠছে, জমি রেজিস্ট্রি অফিস বা রেশন তুলতে গেলেও নকল হয়ে যাচ্ছে আঙুলের ছাপ। তাতেই জালিয়াতির জাল বুনছে প্রতারকরা। রাজাপুর থানার অন্তর্গত খিলিশানি দশবাগা গ্রামের মনোরঞ্জন কোলে। গ্রামেই ছোটখাটো একটা চায়ের দোকান চালান। ২১ হাজার টাকা খুইয়ে তাঁর তো চোখে অন্ধকার দেখার অবস্থা।
মনোরঞ্জন কোলে জানান, ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। ব্যাঙ্ক থেকে বলা হয়েছে থানায় জিডি করে এসে দরখাস্ত দিন। ১৭ সেপ্টেম্বর ও ১৮ সেপ্টেম্বর দুই দফায় টাকা খুইয়েছেন তিনি। মনোরঞ্জন বলেন, “স্ত্রী অসুস্থ। এইটুকুই তো পুঁজি আমাদের। ব্যাঙ্কে টাকা রেখেও যদি নিরাপত্তা না পাই, তা হলে আর কোথায় যাব?”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হাওড়া গ্ৰামীণে প্রতারণা সংক্রান্ত বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলার সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৭২০ জনের অভিযোগপত্র পেয়েছে তারা। হাওড়া গ্রামীণ জেলায় ১৪ থেকে ১৬টি থানা রয়েছে। এই থানাগুলিতে এখনও অবধি কত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সে তথ্য স্পষ্ট নয়। তা সামনে এলে হয়ত দেখা যাবে ইতিমধ্যেই কয়েকশো মানুষ প্রতারিত হয়েছেন।