Bagnan Firing: ‘গাড়ির কাচ বন্ধ, কোনও ছিদ্র নেই’; তাহলে কীভাবে গুলিবিদ্ধ অভিনেত্রী? প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের
Bagnan: গুলিবিদ্ধ স্ত্রীকে গাড়ির ডিকিতে চাপিয়ে প্রকাশ নিয়ে আসে একটি কারখানার সামনে। ঘটনাস্থল থেকে এই কারখানার দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার।
বাগনান: বাগনানে (Bagnan Murder) ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গুলিবিদ্ধ রাঁচির অভিনেত্রী ইশা আলিয়া। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রীর স্বামী প্রকাশকুমার ঝাঁ ও তাঁদের সন্তান। স্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল বাগনানে মহিষরেখা ব্রিজের কাছে। সেখানে গাড়ি থামিয়ে কিছু সময়ের জন্য নেমেছিলেন প্রকাশ। প্রকাশের দাবি, সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা ইশাকে গুলি করেছে। এরপর গুলিবিদ্ধ স্ত্রীকে গাড়ির ডিকিতে চাপিয়ে প্রকাশ নিয়ে আসে একটি কারখানার সামনে। ঘটনাস্থল থেকে এই কারখানার দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার। ওই কারখানার সামনে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার কাছে সাহায্য চায় সে। কিন্তু স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা তখনও স্থানীয় বাসিন্দাদের জানায়নি বলেই দাবি করছেন এলাকাবাসীরা।
ওই কারখানার সামনে যাঁরা ছিলেন তাঁদের দাবি, প্রকাশ নাকি সেই সময় লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করে সেখানে আশপাশে কোথাও হাসপাতাল আছে কি না। কেন হাসপাতালের খোঁজ করছে, প্রশ্ন করলে উত্তর দেয়, তাঁর স্ত্রীর কানের পাশ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই কথা শুনে গাড়িতে ইশাকে দেখতে যান। তখন তাঁরা দেখতে পান, কানের পাশে যেখানে রক্ত বেরোচ্ছে, সেখানে ফুটো হয়ে রয়েছে। লোকজনের সন্দেহ হয়। প্রশ্ন করায় তখন প্রকাশ বলে, দৃষ্কৃতীরা গুলি করে পালিয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, গাড়ির সব কাচ বন্ধ ছিল। যদি বাইরে থেকে কেউ গুলি করে, তাহলে তো কাচ ভেঙে গুলি ঢুকবে। কিন্তু তেমন কোনও চিহ্ন তাঁরা দেখতে পাননি। এলাকাবাসীরা বলছেন, আগে কখনও এমন ঘটনা এখানে ঘটেনি। এর পাশাপাশি গাড়িতে রক্তের কোনও দাগ পাওয়া যায়নি বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাশাপাশি যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেখানেও ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কীভাবে ওই অভিনেত্রীর মৃত্যু হল, সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, এখনও তদন্ত চলছে। এখনই কিছু বলা যাবে না। তাহলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে। তবে পুলিশ সব দিকগুলি খতিয়ে দেখছি। কিছু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।