Firhad Hakim: ক্ষমা চাইলেন ফিরহাদ, শোনালেন ‘লজ্জা’র কথাও

Firhad Hakim: ফিরহাদ বললেন, "আমি ক্ষমাপ্রার্থী। মন্ত্রী হয়েও আমি হাওড়ায় পুরভোট করাতে পারছি না। রাজ্যপাল হাওড়া পুর বিলে সই না করায় অনেক চেষ্টা করেও ভোট করানো যাচ্ছে না।"

Firhad Hakim: ক্ষমা চাইলেন ফিরহাদ, শোনালেন 'লজ্জা'র কথাও
হাওড়ায় ফিরহাদ হাকিম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2022 | 3:51 PM

হাওড়া: হাওড়া পুরনিগম থেকে বালিকে পৃথক পুরসভা করার বিলে নিয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি। আর এর জেরে ভোট করানো যাচ্ছে না হাওড়া পুরনিগমে। বাকি পুরনিগমগুলির ভোট গত বছরই হয়ে গিয়েছে। তারপর পুরসভা নির্বাচনের পর্বও মিটেছে। কিন্তু থমকে রয়েছে হাওড়ার পুরভোট। এই নিয়ে এবার হাওড়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার সন্ধেয় ফিরহাদ বললেন, “আমি ক্ষমাপ্রার্থী। মন্ত্রী হয়েও আমি হাওড়ায় পুরভোট করাতে পারছি না। রাজ্যপাল হাওড়া পুর বিলে সই না করায় অনেক চেষ্টা করেও ভোট করানো যাচ্ছে না। তবুও হাওড়ার উন্নয়ন থেমে থাকবে না।” এ দিন হাওড়ায় নবরূপে সজ্জিত টাউন হলের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন পুরমন্ত্রী। সেখানেই এই কথা বলেন তিনি।

ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “হাওড়ায় পুরভোট করানোর জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু রাজ্যপাল হাওড়া পুরনিগমের ছোট্ট একটি সংশোধনী বিলে সই না করে আটকে রাখায় আমরা ভোট করাতে পারছি না। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি কেন সই করছেন না, জানি না। উনিই বলতে পারবেন কেন সই করছেন না। বালিতে পুর পরিষেবার মান উন্নত করতে আমরা হাওড়া থেকে বালি আলাদা পুরসভা করেছি। এরপর সমস্ত কিছু রাজ্যপালকে পাঠানো সত্ত্বেও উনি অজ্ঞাত কারণে সই না করে পুরভোট আটকে রেখেছেন। এর জন্য পুরমন্ত্রী হিসেবে আমি হাওড়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।”

রাজ্যের পুরমন্ত্রী এই বিষয়ে আরও বলেন, “পুরসভা থাকবে কিন্তু কাউন্সিলর থাকবেন না, এটা সত্যিই লজ্জার।” তবে হাওড়াবাসীকে আশ্বস্ত করেন তিনি। বলেন, “এর জন্য উন্নয়ন থেমে থাকবে না। হাওড়ার উন্নয়ন যেমন চলছে, তেমনই চলবে। কেউ বাধা দিতে পারবে না। হাওড়ায় দ্রুত ভোট করানোর জন্য আমাদের উদ্যোগ চালু আছে। রাজ্যপাল পুরবিলের সংশোধনীতে সই করলেই হাওড়ার পুরভোট করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, হাওড়া পুর বিল সংক্রান্ত বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য-রাজ্যপাল জটে আটকে রয়েছে। যদিও রাজ্যপালের এই বিষয়ে বক্তব্য, হাওড়া পুর বিল সম্পর্কে তিনি একাধিকবার বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে সেই বিষয়টি জানানো হয়নি। সেই কারণে তিনি সই করতে পারছেন না।