Monkey Attack: দাঁত মুখ খিঁচিয়ে ধেয়ে এসে রক্তারক্তিকাণ্ড করছে, হনুমানের অত্যাচারে মাথায় হাত এলাকাবাসীর
Domjur: এই হনুমানের আতঙ্কে অঙ্গনওয়াড়ির ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকার লোকজন জানান, এই বিপদ থেকে বাঁচতে বনদফতরকে পর্যন্ত খবর দেওয়া হয়েছে।
হাওড়া: হনুমানের ভয়ে এখন বোধহয় ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে হাওড়ার ডোমজুড়ের মানুষকে। এলাকার লোকজনের দাবি, একটি পাগল হনুমান দিনভর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকায়। আঁচড়ে কামড়ে একসা করছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় কেশবপুরের দুই বাসিন্দা আহত হয়েছেন। এক জনের হাতে ও অন্যজনের পায়ে কামড়ে দিয়েছে হনুমানটি। দু’জনই গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এলাকার লোকজন জানান, গত বুধবার থেকে গ্রামের ভিতর কার্যত তাণ্ডব করে চলেছে একটি হনুমান। তার ভয়ে রাস্তায় বেরোতে পারছেন না লোকজন। ঘাপটি মেরে বসে থাকছে। অতর্কিতে এসে চালাচ্ছে হামলা। কেটে ছড়ে একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড করে ছাড়ছে লেজবিশিষ্ট। বেজায় অশান্তিতে পড়েছেন এখানকার মানুষ।
এই হনুমানের আতঙ্কে অঙ্গনওয়াড়ির ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকার লোকজন জানান, এই বিপদ থেকে বাঁচতে বনদফতরকে পর্যন্ত খবর দেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বনদফতরের কর্মীরা হনুমানটির হদিশ পাননি। হাওড়া শহরের বনদফতরের রেঞ্জ অফিসার নির্মল কুমার মণ্ডল জানান, যে হনুমানটি কামড়েছে তাকে গ্রামবাসীরা চিহ্নিত করতে পারছেন না। তাই হনুমানটিকে ধরতে সমস্যা হচ্ছে। তবে বন দফতরের তরফে ডোমজুড়ের পঞ্চায়েত ও পুলিশ প্রশাসনকে সচেতনতা প্রচার চালাতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে বনদফতরের কর্মীরাও সর্বক্ষণ গ্রামে নজরদারি রাখছেন বলে জানান ওই রেঞ্জ অফিসার। কেশবপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি শ্মশানে খাঁচা পেতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যদিও এই প্রথমবার নয়। ডোমজুড়ে আগেও দলকে দল হনুমানের লম্ফঝম্ফ দেখা গিয়েছে। এরা কখনও দাঁত মুখ খিঁচিয়ে তেড়ে আসে, আবার কখনও হাতে থাকা জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। কখনও আবার বুক ফুলিয়ে গৃহস্থের ঘরে ঢোকার জন্য ধেয়ে আসে। প্রাথমিক খোঁজখবরে বনদফতরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ১০ থেকে ১২টি হনুমানের একটি দল কেশবপুর গ্রামে রয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একটি হনুমান দলছুট হয়ে গিয়েছে। সেই হনুমানটিই এমন পাগলের মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।