‘মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হবেই’, মইদুল-কন্যার পাশে দাঁড়িয়ে সেলিমের শপথ

একটা বার্তা স্পষ্টভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেন সেলিমরা। তা হল, "এই মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হবেই। তবে সেটা রাজ্যে পালাবদলের মাধ্যমে।"

'মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হবেই', মইদুল-কন্যার পাশে দাঁড়িয়ে সেলিমের শপথ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 09, 2021 | 10:34 PM

বাঁকুড়া: বাম-ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযান গিয়ে আঘাত পাওয়া ও পরে মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার (Maidul Islam Midya) স্মরণ অনুষ্ঠান ঘিরে আবেগের স্রোত দেখা গেল কোতুলপুরে। সিপিএম-র প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim) আজ মইদুলের বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। পাশাপাশি আরও একটা বার্তা স্পষ্টভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেন সেলিমরা। তা হল, “এই মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হবেই। তবে সেটা রাজ্যে পালাবদলের মাধ্যমে।”

মঙ্গলবার কোতুলপুরে মইদুলের গ্রামে পৌঁছে এ দিন প্রথমে মইদুলের মায়ের সঙ্গে দেখা করেন সেলিম। সেখানে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় মইদুলের পরিবারকে। এর পরই আয়োজন করা হয়েছিল একটি স্মরণসভার। সেখানে মইদুলের মেয়েকে নিয়েই মঞ্চে বসেন সেলিম। মৃত বাম কর্মীর স্মৃতিচারণা করা হয়।

মইদুলকে ঘিরে আয়োজিত গোটা অনুষ্ঠানেই বাড়তি মাত্রা যোগ করেছিল কাজী কামাল নাসের ও ডঃ সৌমিক দাসের গান। সঙ্গে ছাত্রযুব নেতৃত্বের কথায় ফুটে ওঠে দৃপ্ত প্রত্যয়৷ টুকরো টুকরো অনেক আবেগঘন মুহূর্তের উপহার দেয় স্মরণসভা। তবে সব ছাপিয়ে যায় শহিদ মইদুলের পরিবারের জেদ। ছাত্র যুবদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পালাবদলের মাধ্যমে ‘প্রতিশোধ’ নেবে বলে দাবি করে মইদুলের পরিবার।

আরও পড়ুন: পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি রুখতে বাড়ি-বাড়ি যাবে আধাসেনা! নির্দেশ কমিশনের

সেলিমের বক্তব্য তখন শেষের দিকে। মঞ্চেই বসে ছিল মইদুলের মেয়ে। আবেগী গলায় সেলিম ডাকলেন মেয়েকে। বললেন, “মেয়ে বলেছে, বাবার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হোক, কী রে, হবি তো?” প্রশ্ন শুনে মেয়েও বলে উঠল, “হ্যাঁ, আমি ডাক্তার হব।” গোধূলির আলোয় সন্ত্রস্ত কোতুলপুর হাততালিতে ফেটে পড়ে যেন জানিয়ে দিল, “মইদুল মিদ্যা মরেননি। মরবেন না৷”

আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল নির্বাচন কমিশনের