Nadia: তোলাবাজির প্রতিবাদ করাতেই বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মার, ইঁট দিয়ে মেরে থেঁতলে দেওয়া হল মাথা
Nadia: মদ্যপ অবস্থায় নির্মমভাবে ৬৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধ।
শান্তিপুর: মদ্যপ যুবকের হাতে গুরুতর জখম ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবকদের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) রেল স্টেশন সংলগ্ন নীলমণি মার্কেটের কাছে। অভিযোগ, শান্তিপুর হরেকৃষ্ণ পল্লী এলাকার যুবক অমল হালদার ও তার দলবল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিদিনই ওই মার্কেটে মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব চালায়। চলে তোলাবাজি। ব্যবসায়ীরা টাকা দিতে রাজি না হলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। দেওয়া হয় প্রাণে মারার হুমকি।
অমল তাণ্ডবের প্রতিবাদে একজোট হয়ে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বুধবার ওই মার্কেটের সমস্ত ব্যবসায়ীরা অভিযুক্ত অমল হালদারের বিরুদ্ধে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর কাছে অভিযোগ জানাতে গণ স্বাক্ষর অভিযান চালাচ্ছিল। সেই খবর যায় অমলের কানে। তারপরেই সদলবলে বাজারে এসে ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করে। মদ্যপ অবস্থায় হামলা চালায় ব্যবসায়ীদের উপর। করা হয় অকথ্য গালিগালাজ। ফের দেওয়া হয় প্রাণে মারার হুমকি।
অভিযোগ, ওই মার্কেটের সহ-সভাপতি যোগেশ শিকদারকে (৬৭) বেধড়ক মারধর করা হয়। ইঁট দিয়ে তাঁর মাথায় মেরে মাথা থেঁতলেও দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে শান্তিপুর হাসপাতালে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অমল হালদারের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নীলমণি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। অমলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি আর্জি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। একইসঙ্গে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে শান্তিপুরের বিধায়কের কাছেও। যদিও এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এলাকার বিধায়ক এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও ব্যবস্থা নেন কিনা সেটাও দেখার।