Jalpaiguri: ৬৩ বছরের স্ত্রীকে নিয়েও সন্দেহ করতেন সত্তরের বৃদ্ধ, ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখলেন প্রতিবেশীরা
Jalpaiguri: শিপ্রার পরিবারের অভিযোগ, ধর্মদাস প্রথম থেকেই তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। নানা ছোটো ইস্যুতে স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। এমনকি বাজার করতেন না, বাজার করতেও যেতে দিতেন না।
জলপাইগুড়ি: স্বামীর বয়স ৭০। স্ত্রীর ৬৩। কিন্তু এই বয়সেও স্ত্রীকে প্রবল সন্দেহ করতেন স্বামী। স্ত্রী ঘরের বাইরে বেরোলেও সন্দেহ করতেন, মোবাইল ঘাঁটলেও। কারোর সঙ্গে কথাও সেভাবে বলতে পারতেন না বৃদ্ধা। জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরাই। সন্দেহবাতিক মানসিকতার জেরেই বৃদ্ধ স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। এক বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি ১৪ ওয়ার্ডের পান্ডাপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শিপ্রা ভট্টাচার্য। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বামী ধর্মদাস।
শিপ্রার পরিবারের অভিযোগ, ধর্মদাস প্রথম থেকেই তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। নানা ছোটো ইস্যুতে স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। এমনকি বাজার করতেন না, বাজার করতেও যেতে দিতেন না। ধর্মদাস নিজে হোটেল থেকে খাবার খেতেন। আর স্ত্রীর জন্য খাবারও নিয়ে আসতেন না। প্রতিবেশীদের কাছে বিষয়টি মাঝেমধ্যে জানিয়েছিলেন শিপ্রা। প্রতিবেশীরাও ধর্মদাসের বিরুদ্ধে এ হেন অভিযোগই করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ রাই, গণেশ চক্রবর্তীদের অভিযোগ, মৃতার স্বামী অত্যন্ত সন্দেহবাতিক ছিল। তিনি তাঁর স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতেন। নিজে হোটেলে খেতেন। স্ত্রীকে খেতে দিতেন না। নির্যাতন করতেন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরেই বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার প্রতিবেশী ভাইদের অভিযোগ জামাইবাবুর অত্যাচারের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ঘটনায় ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন, এক বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দেহ উদ্ধার করে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।