Dhupguri Cpm Joining: চলছে অভিষেকের কর্মসূচি, এরই মধ্যে তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদান ২০০ পরিবারের
Dhupguri Cpm Joining: সেখানে ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোরা ২ নং গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে সিপিএম এ যোগদান করলেন প্রায় ২০০টি পরিবার। এমনটাই দাবি করেছে ওই এলাকার বাম নেতৃত্ব।
ধূপগুড়ি: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ‘তৃণমূল নব জোয়ার’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। জনসংযোগে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তিনি যখন কোচবিহারে ঠিক তখন পাশের জেলা জলপাইগুড়িতে ঘর ভাঙল তৃণমূলের। সেখানে ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোরা ২ নং গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদান করলেন কমপক্ষে ২০০টি পরিবার। এমনটাই দাবি করেছে ওই এলাকার বাম নেতৃত্ব।
এলাকার সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাধারণ মানুষকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছেন। শুধু তাই নয়, মানুষকে প্রতারিত করে এলাকার উন্নয়নকে স্তব্ধ করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ সরকারি ইন্দিরা আবাস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই তাঁরা আজ তৃণমূল ছেড়ে বামফ্রন্টের লাল ঝান্ডার তলায় এসেছেন।
মঙ্গলবারের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন ধুপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কমল চন্দ্র রায়, সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য মুকুলেশ রায় সরকার, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এবং আইয়ুব আলি প্রমূখ। স্থানীয় সিপিএম নেতা বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতকে দখলের লড়াই জারি থাকবে। সাগরদিঘির মডেল অনুসরণ করে তৃণমূলের হাত থেকে এই এলাকা বামেদের দখলে আনব।”এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, “সিপিএম সস্তা রাজনীতি করছে প্রচার পাওয়ার জন্য। আমাদের দলের থেকে কেউ যোগ দেয়নি। যাঁরা গিয়েছে সব বিজেপি এর কর্মী। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করব।”
প্রসঙ্গত এর আগে ডুয়ার্সেও সিপিএম-এ যোগদান করেছিলেন অনেকে। গত রবিবার ধূপগুড়ির বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা এলাকায় এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। যাঁরা এদিন যোগদান করেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থক ছিলেন বলে দাবি সিপিএমের।