TMC: তৃণমূলের দলাদলি তুঙ্গে, একজন যোগদান করাচ্ছেন, অন্যজন বলছেন, ‘মিথ্যে’
এবারের লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল। একুশের বিধানসভা ভোটেও পিছিয়ে ছিল। অথচ গত পুরনির্বাচনে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে জিতেছিলে তৃণমূল। তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও।
জলপাইগুড়ি: তৃণমূলের এক নেতা দলে যোগদান করাচ্ছেন, আরেক নেতা বলছেন, দলের লোককেই পতাকা ধরাচ্ছেন। জলপাইগুড়িতে শাসকশিবিরে আপাতত এই ছবি ঘিরে জোর তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতা এসসি ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস বনাম তৃণমূলেরই টাউন ব্লক সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তরজা এখন শাসক-বিরোধী সব শিবিরেরই আলোচ্য বিষয়।
এবারের লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল। একুশের বিধানসভা ভোটেও পিছিয়ে ছিল। অথচ গত পুরনির্বাচনে ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে জিতেছিলে তৃণমূল। তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও।
তাঁর ওয়ার্ডেই রবিবার একটি যোগদান কর্মসূচি হয়। কৃষ্ণ দাসের উপস্থিতিতে যোগদান হয়। ৪০টি পরিবারকে তৃণমূলে যোগদান করান বলেও দাবি করেন। আর এরপরই তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। দাবি করেন, এই যোগদানের কোনও বৈধতাই নেই।
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে দলের শাখা সংগঠনের একজন প্রধান বিভিন্ন ওয়ার্ডে যোগদানের নাম করে দলকে বিব্রত করছেন। দলের নিয়ম রীতি না মেনে তিনি জয়েনিংয়ের নামে যাঁরা ইতিমধ্যেই তৃণমূল করেন, তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছেন। এটা জয়েনিংয়ের নামে প্রহসন। তাঁদের হাতেই পতাকা দিয়ে কেউ যদি বলে ৪০টা পরিবার যোগ দিল, এর যৌক্তিকতা কী? শাখা সংগঠনের নামটা আমি আর বলছি না। এটা নিজেকে জাহির করার লক্ষ্যে করছে। আমি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি, জানিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করেছি।”
তবে কৃষ্ণ দাসের দাবি, “গোষ্ঠীকোন্দলের কিছুই না। এখানকার কাউন্সিলরকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছি, জয়েনিং আছে। উনি আবার আমাদের টাউন ব্লকেরও প্রেসিডেন্ট। আমি জেলা প্রেসিডেন্টকেও জানিয়েছি। আর সবাই সবাইকে পছন্দ করবে এমনটাও নয়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৪ পরিবার যোগ দিল।”