Jalpaiguri: প্রসব যন্ত্রণার মধ্যেই প্রসূতিকে ফেলে রেখে চম্পট, অ্যাম্বুলেন্স চালক-আশা কর্মীর কাছে গেল নোটিস
Jalpaiguri: ময়নাগুড়ি ধর্মপুর অঞ্চলের বাসিন্দা লতা দেবী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার প্রসব বেদনা ওঠায় তাঁকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা মাদার চাইল্ড হাবে নিয়ে আসা হয় বলে খবর। তখনই ঘটে এই ঘটনা।
জলপাইগুড়ি: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ। ভর্তির আগেই হাসপাতাল চত্ত্বরে সন্তান প্রসব মহিলার। ঘটনার তদন্ত নেমে আশা কর্মী ও অ্যাম্বুলেন্সকে নোটিস ধরালো মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার নিন্দায় সাংসদ। সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রসূতিকে নামাতে ট্রলি খুজতে যায় তাঁর বাড়ির লোকজন। ফিরে এসে দেখে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রসূতিকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স চালক। প্রসব বেদনায় কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতাল চত্ত্বরেই সন্তান প্রসব করেন লতা রায় নামে ওই যুবতি। ঘটনায় জোর শোরগোল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে।
ময়নাগুড়ি ধর্মপুর অঞ্চলের বাসিন্দা লতা দেবী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার প্রসব বেদনা ওঠায় তাঁকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা মাদার চাইল্ড হাবে নিয়ে আসা হয় বলে খবর। এরপর রোগীকে নামাবার জন্য ট্রলি না পাওয়ায় বাড়ির লোক ও সিকিউরিটি গার্ডের লোকেরা মিলে ট্রলি খুঁজতে যায়। অভিযোগ তাঁদের আসার অপেক্ষা না করে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রসূতিকে ফেলে দিয়ে চলে যায় অ্যাম্বুলেন্স চালক। এরপর লতা দেবী সেখানেই সন্তান প্রসব করেন।
ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্ত্বরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন রোগীর আত্মীয়রা। লতা দেবীর শ্বশুর বিষ্ণু রায় বলছেন, ময়নাগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে বউমাকে নিয়ে এসে ট্রলি না পেয়ে তাঁকে নামাতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়ে যাই। ট্রলির জন্য এদিক ওদিক ছোটাছুটি করি। কিন্তু ট্রলি না পেয়ে ফিরে এসে দেখি বউমা হাসপাতাল চত্ত্বরেই সন্তান প্রসব করেছে।
ঘটনার নিন্দা করেছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে ট্রলি নেই এটা মেনে নেওয়া যায় না। নিশ্চয়ই কর্মীদের গাফিলতি রয়েছে। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। শুক্রবার এই ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাক্তার প্রবীর কুমার দেবের কাছে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সব শুনে উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
এদিন বিকালে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাক্তার কল্যান খাঁ জানান প্রসূতি হাসপাতালে আসার সময় তার সঙ্গে আশা কর্মীর থাকার কথা। কিন্তু, আমরা তদন্ত করে জানতে পারলাম ওই প্রসূতির সঙ্গে ময়নাগুড়ি থেকে আশা কর্মী আসেননি। এছাড়া ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের দায়িত্ব ছিল প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। উল্টে লতা দেবীকে হাসপাতাল চত্ত্বরে ফেলে রেখে চলে যান। যা অত্যন্ত অমানবিক। আমরা নোটিশ দিয়েছি।