Dhupguri: দেদার মাটি দিয়ে ভরাট জলাভূমি, স্থানীয় প্রশাসন বলছে কিছুই জানে না
Dhupguri: ঘটনাটি ধূপগুড়ি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দু'নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় জেসিবি মেশিনের সাহায্যে চলছে নয়ানজুলি ভরাট। বিষয়টি নিয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার প্রশাসক তথা বোর্ডের সদস্য অরূপ দে নাকি জানেনই না কোথায় ভরাট হচ্ছে এই নয়ানজুলি।
ধূপগুড়ি: কোথায় সরকারি বিধিনিষেধ? দেদার চলছে নয়ানজুলি ভরাট। শুধু তাই নয়, দিনে দুপুরে চলছে সেই নয়ান জুলি ভরাট। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কোনও ভাবেই জলাশয় ভরাট করা যাবে না। তারপরও কীভাবে এই কাণ্ড হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
ঘটনাটি ধূপগুড়ি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দু’নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় জেসিবি মেশিনের সাহায্যে চলছে নয়ানজুলি ভরাট। বিষয়টি নিয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার প্রশাসক তথা বোর্ডের সদস্য অরূপ দে নাকি জানেনই না কোথায় ভরাট হচ্ছে এই নয়ানজুলি। অপরদিকে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশ কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য এর ফলে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হওয়ার সমুহ আশঙ্কা রয়েছে।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের ওয়ার্ডে এমনিতেই বন্যা প্রবণতা বেশি। সামন্য বৃষ্টি এলেই জল জমে যায়। আমাদের না জানিয়েই জলাশয় ভরাট হচ্ছে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ বন্ধ না করে তাহলে আমরা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
ধূপগুড়ি পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার দীপক কর বলেন,”নয়ানজুলি ভরাট করা যায় না। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।” তিনি আশ্বাস দেন বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখার এবং পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার। পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অরূপ দে বলেন, “পুরসভায় নয়ানজুলী ভরাটের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”