AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anganwadi Workers: শীঘ্রই বন্ধ হতে পারে অঙ্গনওয়াড়ির খাবার? স্ট্রাইকের পথে কর্মীরা?

Anganwadi Workers: আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, একাধিক ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন এই রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা। অন্যান্য রাজ্যে একই কাজ করে অনেক বেশি ভাতা পান সেই রাজ্যের কর্মীরা। সেই তুলনায় এ রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা অনেকটাই কম।

Anganwadi Workers: শীঘ্রই বন্ধ হতে পারে অঙ্গনওয়াড়ির খাবার? স্ট্রাইকের পথে কর্মীরা?
সংগঠনের জেলা সভাপতি ললিতা রায়Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2024 | 7:03 PM
Share

জলপাইগুড়ি: বরাদ্দ বৃদ্ধি, ভাতা বৃদ্ধি, মোবাইলের টাকা প্রদান-সহ একাধিক দাবি নিয়ে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে প্রকল্প আধিকারিকের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন তাঁরা। আধিকারিকের হাতে তাঁদের দাবি সম্মিলিত  স্মারকলিপিও তুলে দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, একাধিক ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন এই রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা। অন্যান্য রাজ্যে একই কাজ করে অনেক বেশি ভাতা পান সেই রাজ্যের কর্মীরা। সেই তুলনায় এ রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা অনেকটাই কম। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদে পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও সেই নিয়ম তাঁদের ক্ষেত্রে বলবৎ নেই। তাতেই ক্ষোভ বাড়ছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যএ। দ্রুত এই পদোন্নতির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের আদেশ নামা এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৫০ শতাংশ সুপারভাইজার শূন্য পদে যোগ্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পদোন্নতি দিতে হবে। তাও কেন পদোন্নতির সুযোগ মিলছে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁৎা। এমনকি পোষণ অ্যাপসের কাজের জন্য স্মার্টফোন, রিচার্জের খরচ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে এই সংগঠনের তরফে। 

সংগঠনের জেলা সভাপতি ললিতা রায় জানাচ্ছেন, গত ৫ বছরে কেন্দ্রের তরফে দু’বার তাঁদের স্মার্টফোন কেনার টাকা বরাদ্দ করলেও সেই টাকা তারা এখনও পাননি। মোবাইল রিচার্জের জন্য বরাদ্দ মাত্র ১৬৬ টাকা। সেই টাকায় বর্তমানে রিচার্জ করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি খাবারের জন্য যেই পরিমান টাকা বরাদ্দ করা আছে তা দিয়ে সেন্টার চালানো কার্যত অসম্ভব বলে দাবি তাঁদের। বর্তমান বাজারে ডিমের দাম ৮ টাকা। কিন্তু সরকার থেকে সাড়ে ছয় টাকা বরাদ্দ কেন করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অথচ সপ্তাহে ৩ দিন ডিম দেওয়া বাধ্যতামূলক। তাই বরাদ্দ বৃদ্ধি না করলে তাঁরা বাচ্চাদের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। প্রকল্প আধিকারিক সুদীপ্ত তামাং জানান, তিনি স্মারকলিপি পেয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি শীঘ্রই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।