Bomb Squad: স্বাস্থ্য দফতরে বোমাতঙ্ক! বোম্ব স্কোয়াড এসে বেওয়ারিশ ব্যাগ খুলতেই ‘কাঁচকলা খাও’
Bomb Squad: মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ডক্টর সুরজিত সেন বলেন, “মিটিং চলছিল। তার মাঝে খবর আসে একটি মালিকহীন পার্সেল আউটডোরের কাছে পড়ে আছে। খবর শুনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তারপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”
জলপাইগুড়ি: দিনভর পুলিশ ও বোম স্কোয়াডের দৌড়াদৌড়িই সার। সন্ধ্যায় বাক্স থেকে বের হল কাঁচকলা খাও লেখা চিরকুট। ঘটনায় হতবাক পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু। উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকালে একটি পরিত্যক্ত পার্সেলকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়াল জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে।
জানা গিয়েছে ওই সময় স্বাস্থ্য দফতরে একটি জরুরি বৈঠক চলছিল। তারমধ্যেই বোমাতঙ্কের খবর ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বোম স্কোয়াড। মুহূর্তের মধ্যেই অফিস খালি করে দেওয়া হয়। মেটাল ডিটেক্টর-সহ অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে পার্সেলটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অফিস কর্মী থেকে চিকিৎসকেরা। খবর পেয়ে বোম্ব স্কোয়াড এসে পার্সেলটি উদ্ধার করে। তাপরই জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করতে নিয়ে যায়।
মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ডক্টর সুরজিত সেন বলেন, “মিটিং চলছিল। তার মাঝে খবর আসে একটি মালিকহীন পার্সেল আউটডোরের কাছে পড়ে আছে। খবর শুনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তারপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।” ডিএসপি নরেন্দ্র কালিকোটে বলেন, আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি বিস্ফোরক নেই। এরপরই পার্সেলটিকে উদ্ধার করা হয়। এখন নিষ্ক্রিয় করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, “পার্সেল থেকে ডেন্টাল ডিপার্টমেন্টের কিছু ইঞ্জেকশন পাওয়া গিয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করল তা জানতে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”