Jalpaiguri: কেন বাজবে গাড়ির হর্ন? মদ্যপানে ‘ব্যাঘাত’, মহিলার উপর ‘চড়াও’ তৃণমূলের প্রধান
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন দিপু সরকার। সোমবার রাতে ভাইয়ের বিয়ের পাকা কথা বলতে পরিবারের লোকজনদের নিয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, যখন সেখান থেকে ফিরছিলেন সেই পথে রাস্তাতেই ঘটে যায় এই ঘটনা।
জলপাইগুড়ি: গাড়ির হর্ন বাজানোয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধানের মদ্যপানে ব্যাঘাত। তাতেই রেগে গিয়ে মহিলার গায়ে হাত, গলার হার, টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। চাঞ্চল্যকর ঘটনা জলপাইগুড়িতে। ঠিক কী ঘটেছিল?
জলপাইগুড়ি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন দিপু সরকার। সোমবার রাতে ভাইয়ের বিয়ের পাকা কথা বলতে পরিবারের লোকজনদের নিয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, যখন সেখান থেকে ফিরছিলেন সেই পথে রাস্তাতেই ঘটে যায় এই ঘটনা। অভিযোগ, রাস্তা আটকে দলবল নিয়ে মদ্যপান করছিলেন তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মণ্ডল। বারবার হর্ন দিলেও পথ ছাড়া হয়নি।
এদিকে লাগাতার হর্নের আওয়াজ শুনে ক্ষেপে যান প্রধান। ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়িতে চড়াও হন। গাড়িতে থাকা এক মহিলার গায়েও হাত দেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে থাকা টাকা, গলার হারও ছিনতাই করা হয়। কোনওক্রমে দিপু ওই এলাকা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর মহুয়া দত্তের কাছে যান। তাঁর কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন। মহুয়া দেবী ওই পরিবারকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে রাজেশ মণ্ডল বলছেন, “রাস্তায় বসে মদ খেতে খেতে কেউ ঝামেলা করবে, মহিলাদের জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেবে এমন দিন জলপাইগুড়িতে আসেনি। আর কাউন্সিলর দিদি তো এখানে উপস্থিত ছিলেন না। ওনারা যেভাবে বলেছেন সেই ভাবে উনি কাজ করেছেন। পাড়ার মানুষ জানে আমি আসলে কেমন।”