Maynaguri Road Accident: ঠেলা গাড়িতে বিক্রি করছিলেন ফল, আচমকা লরির চাকায় পিষে শেষ দু’টি তাজা প্রাণ
Jalpaiguri: শিবচতুর্দশী উপলক্ষে উৎসব হয় ময়নাগুড়িতে। স্থানীয় জল্পেশ মন্দিরে শিবরাত্রি থেকেই শুরু হয়েছে মেলা।

জলপাইগুড়ি: অভাবের সংসার টানতে স্বামীকে রোজগারে সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। কষ্টেসৃষ্টে কেনা একটিমাত্র ভ্যানোগাড়িতে পেয়ারা, আনারস, কামরাঙ্গা সহ বিভিন্ন ফল কেটে বিক্রি করাই ছিল তাদের পেশা। কিন্তু শিব চতুর্দশীর মেলায় রোজগারের সন্ধানে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না ময়নাগুড়ি হাসপাতালপাড়া এলাকার বাসিন্দা দম্পতির। মাঝপথেই ভ্যানো সমেত নিয়ন্ত্রণহীন লরি পিষে দেয় তাদের।
মৃতদের নাম ভানু মল্লিক (৫০) ও কল্পনা মল্লিক ( ৪৫)। দূর্ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সকরা তাদের মৃত দলে ঘোষণা করেন। পরে তাদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এদিকে, ঘাতক লরিটিকে আটক করেছেন তদন্তকারীরা। যদিও, তার খোঁজ মেলেনি চালকের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবচতুর্দশী উপলক্ষে উৎসব হয় ময়নাগুড়িতে। স্থানীয় জল্পেশ মন্দিরে শিবরাত্রি থেকেই শুরু হয়েছে মেলা। তাই শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাশাপাশি সেই মেলাতেও পেয়ারা, আনারস, কামরাঙ্গা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ফল কেটে বিক্রি করছিলেন। শুক্রবারও সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা সেখানেই ছিলেন। এরপর মেলা শেষ হওয়ার পর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ভ্যানোটিতে চেপে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড় এলাকায় কাছাকাছি তাদের গাড়িটি আসতেই উলটোদিক থেকে একটি নিয়ান্ত্রণহীন লরি দ্রুতগতিতে এসে তাদের পিষে দিয়ে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশকে। তারা ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দম্পতিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস জানিয়েছেন, দেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হয়েছে। ঘাতক লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে এখনও চালক পলাতক। তার খোঁজেই তল্লাশি চলছে। এছাড়াও গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।





