Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murder : ১৪ বছর জেলে, আজ ধুপগুড়ির গোবিন্দকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আদালত

Murder : গোবিন্দর বাড়ি ধুপগুড়ির ভাওয়াল পাড়া এলাকায়। ঘটনার পর ধূপগুড়ি থানায় গোবিন্দর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন রিতার বাবা বিমল চন্দ্র দাস।

Murder : ১৪ বছর জেলে, আজ ধুপগুড়ির গোবিন্দকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আদালত
অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2022 | 9:31 PM

জলপাইগুড়ি: বিয়ের পর থেকে সুখ ছিল না সংসারে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তিও লেগে থাকত প্রায়শই। অবশেষে একদিন দুজনের ঝামেলা চরমে উঠলে সন্তানদের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের (Murder) অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের ১৭ মে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছিল ধূপগুড়িতে। তারপর থেকে চলছিল মামলা। অবশেষে এদিন অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজার ঘোষণা করল আদালত। সূত্রের খবর, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অছিলায় স্ত্রী রিতা দাসের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন গোবিন্দ দাস। ২০০৮ সালের ঘটনার দিন গভীর রাতে সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন গোবিন্দ।  

গোবিন্দর বাড়ি ধুপগুড়ির ভাওয়াল পাড়া এলাকায়। ঘটনার পর ধূপগুড়ি থানায় গোবিন্দর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন রিতার বাবা বিমল চন্দ্র দাস। অভিযোগ পাওয়ার পরেই গোবিন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে বিগত ১৪ বছর ধরে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার রয়েছেন গোবিন্দ। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে এই মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার কথা ছিল। যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হতেই আদালত চত্বরেই ভেঙে পড়েন গোবিন্দ। তবে মেয়ের হত্যাকারী সাজা পাওয়ায় খুশিরা হাওয়া রিতার বাবা বিমল দাসের পরিবারে। 

ঘটনা প্রসঙ্গে, আইনজীবী প্রতীকলাল ঝাঁ জানিয়েছেন, “গত ১৪ বছর ধরে এই মামলা চলছিল। অভিযুক্ত জেলেই ছিল। এই মামলায় অভিযুক্তের দুই সন্তান-সহ মোট ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র‍্যাক করে মামলার শুনানি ছিল। সমস্ত সওয়াল জবাব শুনে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বিচারক অভিযুক্ত গোবিন্দ দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও বেড়ে গিয়েছে নারী নির্যাতনের পরিমাণ। সেখানে গোবিন্দর বিরুদ্ধে এই রায় সমাজে একটা দৃষ্টান্তকারী পদক্ষেপ হয়ে থেকে যাবে বলে মনে করছেন জেলার নাগরিক মহলের একটা বড় অংশ।