Jalpaiguri: ভেসে আসা মর্টারে এখনও ভয় দিকে দিকে, আতঙ্কের আবহে তিস্তাপাড়ে নিষ্ক্রিয় হল রকেট লঞ্চার

Jalpaiguri: বিগত কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে ভেসে আসা সেনার মর্টার বিস্ফোরণে আতঙ্ক দানা বেঁধে ছিল। অনেকে আবার সেগুলিকে আলমারিতেও রেখে দিয়েছিলেন। ক্রান্তির বিস্ফোরণের পরেই আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আতঙ্ক দেখা দেয় তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যেও।

Jalpaiguri: ভেসে আসা মর্টারে এখনও ভয় দিকে দিকে, আতঙ্কের আবহে তিস্তাপাড়ে নিষ্ক্রিয় হল রকেট লঞ্চার
স্বস্তির হাওয়া এলাকায়Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2023 | 12:02 AM

জলপাইগুড়ি: এখনও কাটেনি বিষাদের মেঘ। পুজোর মুখে সিকিমের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশে এখনও দেখা যাচ্ছে তিস্তার ধ্বংসলীলার ছবি। সিকিমের বন্যায় জলপাইগুড়িতে তিস্তায় ভেসে আসা সেনা ক্যাম্পের বিস্ফোরক, মর্টার শেল ইত্যাদি তিস্তা পাড়ের অনেক বাসিন্দাই না বুঝতে পেরে নদী থেকে কুড়িয়ে বাড়িতে গিয়ে যায়। জানা গিয়েছে অনেকে আবার সেগুলিকে আলমারিতেও রেখে দিয়েছিলেন। ক্রান্তির বিস্ফোরণের পরেই আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আতঙ্ক দেখা দেয় তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যেও। এরপর বাড়িতে রাখা বিস্ফোরকগুলি এলাকার ধান ক্ষেতে, রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। মঙ্গলবার সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অনেক বিস্ফোরকই নিষ্ক্রিয় করা হয়। 

এদিন ধান ক্ষেতে ফেলে রাখা রকেট লঞ্চার গুলিকে প্রথমে  অসংখ্য বালির বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এরপর টাইমার সেট করে বিস্ফোরক করা হয়। স্থানীয়দের এদিন প্রায় তিনশো মিটার দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্লাস্ট হওয়া রকেট লঞ্চারের আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। এইভাবে এ দিন দিনভর তিস্তা পাড়ের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয় বলে জানা গিয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মনু সরকার বলেন, আমাদের এখানের অনেকে তো নদীতে ভেসে আসা বিস্ফোরকগুলি বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। ক্রান্তির ঘটনার পর সব বিস্ফোরক বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে আতঙ্ক ছিল। আজকে সেনা ও পুলিশ এসে বিস্ফোরক গুলি নিষ্ক্রিয় করল। এখন আমরা কিছুটা স্বস্তিতে আছি।