Forest Man: ‘উত্তর-পূর্ব ভারতেও হতে পারে সিকিমের অবস্থা’, জলপাইগুড়ি এসে সাবধান বাণী ফরেস্ট ম্যানের
জলপাইগুড়ি: বাঁধ তৈরি করে নদীর আপন ধারায় বাধার সৃষ্টি করলে সিকিমের মতো ঘটনা বার বার ঘটবে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফরেস্ট ম্যান নামে খ্যাত, পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক যাদব পায়েং। পরিবেশকর্মীদের আয়োজিত একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার তিনি জলপাইগুড়ি এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেশ জুড়ে পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়নের তীব্র বিরোধিতা করে এই […]
জলপাইগুড়ি: বাঁধ তৈরি করে নদীর আপন ধারায় বাধার সৃষ্টি করলে সিকিমের মতো ঘটনা বার বার ঘটবে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফরেস্ট ম্যান নামে খ্যাত, পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক যাদব পায়েং। পরিবেশকর্মীদের আয়োজিত একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার তিনি জলপাইগুড়ি এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেশ জুড়ে পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়নের তীব্র বিরোধিতা করে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, পাহাড়ে প্রকৃতি ধ্বংসই সিকিমে বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
জলপাইগুড়ি শহর চিড়ে চলে যাওয়া করলা নদীকে টেমস নদীর সাথে তুলনা করা হয়। সেই নদীতে ২০১১ সালে ভয়াবহ বিষক্রিয়া হয়। এর পর নদীর মাছ ক্রমশ কমেছে। গত কয়েক বছর ধরে করলা নদীতে মাছের পোনা ছাড়ে প্রকৃতিপ্রেমী জলপাইগুড়ি নামে একটি নদী ও পরিবেশপ্রেমীদের একটি সংগঠন। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েই জলপাইগুড়ি আসেন ফরেস্ট ম্যান যাদব পায়েং। এ দিন তিনি করলা নদীতে মাছ ছাড়েন। পাশাপাশি বৃক্ষরোপন-সহ একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দেশে বনসৃজনে অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অসমের জোরহাটের এই জনজাতি মানুষটি। ব্রক্ষ্মপুত্র দ্বীপের ধূধূ একটি প্রান্তরকে জঙ্গলে রূপান্তর করেছেন তিনি। ১৯৮০ সাল থেকে একা হাতে শুরু করে অসমের কলিকামুখের ঔনামুখ চাপরিতে অরণ্য গড়ে তুলেছেন। তাঁর সৃষ্ট সেই জঙ্গলে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে শতাধিক হাতি, বেশ কয়েকটি গন্ডার সহ একাধিক বন্যপ্রাণী। এই কাজের জন্য জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ফরেষ্ট ম্যান অফ ইণ্ডিয়া উপাধিতে ভূষিত করে। পরে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
জলপাইগুড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যাদব পায়েং বলেছেন, “প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন এবং অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ তৈরিই সিকিম বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা হিমাচল প্রদেশে ঘটেছে। এই ভাবে চলতে থাকলে আগামীতে উত্তর পুর্ব ভারতেও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। অসমের হাফলং এ রেল স্টেশন তৈরি করতে গিয়ে প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে। এখন তার ফল ভুগতে হচ্ছে।”