বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার কলেজের অধ্যাপক, পড়ুয়ারা
রবিবার ডুয়ার্সের বন্ধ বামনডাঙা চা বাগানে শ্রমিক ও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হল নতুন পোশাক। এই সঙ্গে পেট ভরে খাওয়ানো হল প্রায় ৩৫০ দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের। রবিবার ছুটির দিন ডুয়ার্সের বামনডাঙ্গা চা বাগানের বামনডাঙা টিজি প্রাইমারি স্কুলে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পূজোর আগে এই নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়েছে।
নাগরাকাটা: তিস্তার রোষে বিপর্যস্ত জনজীবনে আশার আলো। পুজোর মুখে বন্ধ চা বাগানে শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটাল কলকাতার কলেজের কয়েকজন অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের মিলিত উদ্যোগ। রবিবার ডুয়ার্সের বন্ধ বামনডাঙা চা বাগানে শ্রমিক ও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হল নতুন পোশাক। এই সঙ্গে পেট ভরে খাওয়ানো হল প্রায় ৩৫০ দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের। রবিবার ছুটির দিন ডুয়ার্সের বামনডাঙ্গা চা বাগানের বামনডাঙা টিজি প্রাইমারি স্কুলে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পূজোর আগে এই নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কজুর। ছিল নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার। বন্ধ বাগানে শ্রমিকদের হাতে পূজা উপলক্ষে নতুন পোশাক তুলে দেন তাঁরা।
কলকাতার মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা মিলে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে নতুন পোশাক ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। এই নিয়ে ১৩ বছরে পদার্পণ করল তাঁদের এই উদ্যোগ। গত ১৩ বছর ধরে পুজোর সময় বিভিন্ন এলাকাকে বেছে নিয়ে দোস্ত গরিব মানুষের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিয়ে আসছেন তাঁরা।
এ নিয়ে ওই কলেজের অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীরা বলেছেন, “দুর্গাপুজোর সময় সবাই যখন উৎসবে মেতে ওঠে, তখন এদের কাছে কিছুই থাকে না। তাই আমরা আমাদের সাধ্য মতো পাশে থাকার চেষ্টা করলাম।”