Jalpaiguri : চলন্ত ট্রেনে আস্ত বাজার, প্রশ্নের মুখে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য

Jalpaiguri : দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন দৈনিক মোট ৬ বার যাতায়াত করে। এর ফলে কিছু যাত্রীরা ট্রেনেই বাজার করার সুযোগ পান একথা যেমন ঠিক তেমন আবার রেলের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাত্রী সাচ্ছন্দ্যর বিষয়টিকে শিকেয় তুলেছে এক শ্রেনীর ব্যাবসায়ী।

Jalpaiguri : চলন্ত ট্রেনে আস্ত বাজার, প্রশ্নের মুখে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য
চলন্ত ট্রেনেই চলছে সবজি কেনাবেচা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 11:30 PM

নীলেশ্বর সান্যাল

জলপাইগুড়ি: অফিস হোক বা স্কুল-কলেজ, ব্যবসায়িক প্রয়োজন হোক বা ভ্রমণ। আজও দেশের একটা বড় অংশের মানুষ তাঁদের পছন্দের গণপরিবহণের মাধ্যম হিসাবে ট্রেনকেই (Train) বেছে নেন। ভারত সরকারের যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম ট্রেন। কিন্তু সেই ট্রেনেই যদি বাজার বসে যায় তা হলে কী হতে পারে? এমনটা শুনে চোখ কপালে উঠতেই পারে অনেকের। কিন্তু এমনই চিত্র ধরা পরেছে নিউজলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে। বিষয়টি অনেকটা রথ দেখতে গিয়ে কলা বেচার মতো। ওই ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরার মধ্যেই বিভিন্ন প্রকার শাক থেকে শুরু করে ফুলকপি, বেগুন, মূলো, ধনেপাতা  লংকা সহ বিভিন্ন সব্জি মিলছে চলন্ত ট্রেনে। আর যাত্রীরাও তা কিনছেন। সারাদিন অফিস করে বাড়ি ফেরার পথে আর বাজারে না গিয়ে ট্রেনেই বাজার সারছেন একাংশ যাত্রী। আবার অপরদিকে যাত্রীদের একাংশ আবার বিরোধী শিবিরে বসে এর প্রতিবাদও করছেন। 

জানা গিয়েছে এক-দুই দিন নয়, প্রতিদিন রাতে এনজেপি-হলদিবাড়ি ডিএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে এই চিত্র দেখা যায়। এদিকে এই বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন আরপিএফের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁরা ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও তাঁদের সাফাই, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল না। অভিযান চালানো হবে।’ সূত্রের খবর, হলদিবাড়ি থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে সবজি নিয়ে জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ির বাজারে টাটকা সবজি নিয়ে যান বিক্রেতারা। সারাদিন শিলিগুড়িতে ব্যাবসা করেন। এরপর যেই সবজি বেঁচে যায় তা নিয়ে শেষ ট্রেনে ফের পসরা সাজিয়ে সবজি বিক্রি করতে করতে আবার হলদিবাড়ি ফিরে যান তাঁরা।

দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন দৈনিক মোট ৬ বার যাতায়াত করে। এর ফলে কিছু যাত্রীরা ট্রেনেই বাজার করার সুযোগ পান একথা যেমন ঠিক তেমন আবার রেলের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাত্রী সাচ্ছন্দ্যর বিষয়টিকে শিকেয় তুলেছে এক শ্রেনীর ব্যাবসায়ী। আর এতে অসুবিধায় পড়ছেন একাংশের যাত্রীরা। ট্রেনেরই এক যাত্রী কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, “আমি ট্রেনে যাচ্ছিলাম। তখন দেখলাম কিছু সবজি বিক্রেতা ট্রেনেই সবজি বিক্রি করছেন। অনেকেই কিনলেন। আমিও কিনলাম। এর ফলে যাঁরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে তাঁদেরও সুবিধা হচ্ছে খানিক। আলাদা করে বাজারে যেতে হচ্ছে না। তবে ট্রেন ফাঁকা থাকলে তবে ওদের বিক্রি করতে দেখি। হ্যাঁ, জানি কাজটা বেআইনি।”