Jalpaiguri: ‘আদমি পানি মে গির গ্যায়া…’, ব্যাগ বাঁচাতে চলন্ত ট্রেন থেকেই নদীতে ঝাঁপ, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা

West Bengal: মঙ্গলবার বিকেল ৪ নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন ১৭ নং রেল গেটে ডিউটি করছিলেন তিলক দাস। সেই সময় রেল লাইন ধারে গৌহাটির দিকে ছুটে যাচ্ছিল গৌহাটি এক্সপ্রেস।

Jalpaiguri: 'আদমি পানি মে গির গ্যায়া...', ব্যাগ বাঁচাতে চলন্ত ট্রেন থেকেই নদীতে ঝাঁপ, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা
গ্রাফিক্স: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 2:25 PM

জলপাইগুড়ি: ট্রেন চলছে ঝড়ের গতিতে। সেই সময় শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকাই হাতে থাকা ব্যাগটি পড়ে গেল নদীতে। সেই ব্যাগ বাঁচাতে গিয়ে চরম ঘটনা। পা পিছলে পড়লেন নদীতে। তারপর… কথায় বলে ‘রাখে হরি মারে কে’ সেই কথারই যথার্থতা লাভ করল যেন মঙ্গলবার। গেট ম্যানের তৎপরতায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক রেল যাত্রী।

মঙ্গলবার বিকেল ৪ নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন ১৭ নং রেল গেটে ডিউটি করছিলেন তিলক দাস। সেই সময় রেল লাইনের ধারে গুয়াহাটির দিকে ছুটে যাচ্ছিল গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। তিনি লক্ষ করেন এক আরপিএফ কর্মী চলন্ত ট্রেন থেকে তাঁকে বলছে, ‘এক আদমি পানি মে গির গ্যায়া হ্যায়। আপ উসকো বাঁচাইয়ে।’

চিৎকার শুনে তিনি স্টেশন মাস্টার এবং ১৬ নং গেট ম্যানকে ফোন করে বলেন, ‘ট্রেন থেকে কেউ পড়েছে আপনারা দেখুন।’ এরপর তিলকবাবু নিজেই ছুট লাগান ১৬ নং গেটের দিকে। কিছুটা যেতেই তিনি লক্ষ করেন রেল ব্রিজের নিচে পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা এবং রেল পুলিশের সাহায্যে তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই যাত্রী‌র নাম সাকিব মহম্মদ। তাঁর বাড়ি হরিয়ানায়। এ দিন, ট্রেনের শৌচাগারে যাওয়ার সময় হঠাৎই তাঁর সঙ্গে থাকা ব‍্যাগটি ট্রেনের কামরা থেকে পড়ে যাচ্ছি‌ল। সেই ব‍্যাগ বাঁচাতে গিয়ে আচমকাই নিচে পড়ে যান তিনি। বিষয়টি ট্রেনের কামরায় থাকা এক আরপিএফ জ‌ওয়ানের নজরে আসে। তিনি ১৭ নং গেটের গেটম‍্যান তিলক দাসকে বিষয়টি দেখার জন্য চিৎকার করেন।

এ দিন, রেল পুলিশের তৎপরতা‌য় ব‍্যাগ সহ ওই যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মূলত আরপিএফ জ‌ওয়ান ও গেটম্যানের তৎপরতা‌য় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে‌ন ওই যাত্রী।

জখম যাত্রী সাকিব মহম্মদ বলেন, ‘ট্রেনের টয়লেটে যাচ্ছিলাম। তখনই ওই ব্যাগটি ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। সেটাকে বাঁচতে গিয়ে এই বিপত্তি। তখন আমি নিজেই নদীতে পড়ে যাই। পরে সবাই আমায় উদ্ধার করে।’ তিলক দাস জানিয়েছেন, এক আরপিএফ কর্মী তাকে চলন্ত ট্রেন থেকে বলে এক আদমী পানি মে গির গিয়া হ্যায়। আপ উসকো বাঁচাইয়ে। এরপর তিনি খবর দেন। খবর পেয়ে প্রত্যেকে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।