Dooars School: শূন্য ক্লাসরুমে ঝুলছে কেবল ব্ল্যাকবোর্ড, নেই পড়ুুুুয়া, বাড়ি বসেই বেতন ‘গুনছেন’ শিক্ষকরা

Jalpaiguri: বানারহাট ব্লকের ডুয়ার্সের দেবপাড়া চা বাগানের মধ্যে অবস্থিত এই স্কুল। বর্তমানে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা শূন্য, দু'জন শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু তাঁরাও এখন নেই।

Dooars School: শূন্য ক্লাসরুমে ঝুলছে কেবল ব্ল্যাকবোর্ড, নেই পড়ুুুুয়া, বাড়ি বসেই বেতন 'গুনছেন' শিক্ষকরা
স্কুলের অবস্থা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2022 | 1:05 PM

ডুয়ার্স: স্কুল যেন নাম মাত্র। না রয়েছে পড়ুয়া, না রয়েছে শিক্ষক। শিক্ষক নেই বলা ভুল কারণ তাঁরা কেউই স্কুলে আসেন না। অভিযোগ, বসে-বসে শুধু বেতন গুনছেন দীর্ঘদিন ধরে। স্কুলে থাকার মধ্যে রয়েছে দেওয়ালে টাঙানো ব্ল্যাক বোর্ড।

জলপাইগুড়ির ডুয়ার্স। সেখানে প্রত্যন্ত চা বলয়ে হিন্দি স্কুল তৈরি করা হয়েছে। যাতে সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা যায়। আর শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন তো দূর অস্ত। বর্তমানে সেই স্কুল বন্ধের পথে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের দেবপাড়া হিন্দি জুনিয়র স্কুলে একজন ছাত্র-ছাত্রীও নেই। শিক্ষকরাও চলে গিয়েছেন অন্যত্র। বর্তমানে শিক্ষক ও পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ রয়েছে স্কুলগুলি। স্থানীয় বাসিন্দারা চান, দ্রুত স্কুলের হাল ফেরানো হোক।

ডুয়ার্সের চা বলয়ে অসংখ্য হিন্দি ভাষা ভাষী মানুষের বসবাস। আর সেই চা বলয়ের চা শ্রমিকদের সন্তানদের কথা ভেবে দেবপাড়া চা বাগানে খোলা হয়েছিল জুনিয়ার হিন্দি হাই স্কুল। বর্তমানে শুধু স্কুলের বোর্ড রয়ে গিয়েছে।নেই শিক্ষক, নেই ছাত্র।

বানারহাট ব্লকের ডুয়ার্সের দেবপাড়া চা বাগানের মধ্যে অবস্থিত এই স্কুল। বর্তমানে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা শূন্য, দু’জন শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু তাঁরাও এখন নেই। একজন উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করে ট্রান্সফার নিয়েছেন। আর অন্যজন মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করে রেখেছেন। স্বাভাবিকভাবে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার পড়ুয়ারা।অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকরা তারা সঠিকভাবে স্কুলে দায়িত্ব পালন করেননি। যার ফল প্রতিবছর অল্প-অল্প করে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে যা দাঁড়িয়ে রয়েছে শূন্যতে। যাঁরা শিক্ষক ছিলেন তাঁরাও নিয়মিত স্কুলে আসতেন না। তাই পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে হিন্দি জুনিয়র হাই স্কুল। আর সেখানেই বাড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপ।

বন্ধ হতে বসা হিন্দি জুনিয়র হাইস্কুলের পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা স্কুলের একটি কক্ষকে আইসিডিএস সেন্টার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ বাগানে কোনও আইসিডিএস সেন্টার নেই। আর যেহেতু স্কুলটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাই একটি ক্লাসরুমকে অস্থায়ীভাবে আইসিডিএস সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রশ্ন উঠছে যেখানে রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার জন্য এবং স্কুলে পঠন-পাঠনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য একাধিক প্রকল্প ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেই সময় কী করে পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভাবে বিদ্যালয় বন্ধ হতে পারে। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই বর্তমানে দেবপাড়া হিন্দি জুনিয়র স্কুলের চিত্র।

এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা চান হিন্দি জুনিয়র হাই স্কুলটিকে বাংলা মাধ্যমের জুনিয়র হাই স্কুল করা হোক। কারণ সেই জুনিয়র স্কুলটির পাশেই রয়েছে বাংলা মাধ্যমের প্রাইমারি স্কুল। তাই এখানকার পড়ুয়ারা সেই জুনিয়র স্কুলে বাংলা মাধ্যম খোলা হলে সেখানে পড়ার সুযোগ পাবে। এসআই বলেন, ‘এই স্কুলে পড়ুয়াদের কোনও দিনই পড়তে আসতে দেখিনি। শিক্ষকরা মাঝে-মধ্যে আসেন। তবে ক্লাস হয়না। বাংলা মেডিয়ামের স্টুডেন্ট রয়েছে। তবে হিন্দি মিডিয়ামের কোনও শিশু নেই।’