Jalpaiguri: অধরা জামিন, পুজোর দিনগুলি হাজতেই কাটবে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির
Jalpaiguri TMYC Leader Jail: এদিন নতুন করে সৈকতকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ১ নভেম্বর তাঁকে ফের পেশ করা হবে আদালতে।
জলপাইগুড়ি: পুজো এবার হাজতেই কাটবে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ ফের জলপাইগুড়ির সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁকে। এদিন জলপাইগুড়ির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে আর নতুন করে সৈকতকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ১ নভেম্বর তাঁকে ফের পেশ করা হবে আদালতে। পুজোর ক’টা দিন জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কাটবে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির।
সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশি তদন্ত ও তল্লাশিতে বেশ কিছু নতুন তথ্যও উঠে এসেছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। তবে আজ পুলিশের তরফে আর নতুন করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, এক সমাজসেবী দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে। ওই দম্পতি সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। আজ শুনানির সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বিধায়কও। কোর্ট চত্বরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এই ব্যক্তি এতদিন জলপাইগুড়িতে প্রভাব খাটিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে চলেছে। আগামী দিনেও প্রভুত্ব করতে চাইছে। কিন্তু আইনের উপর আমাদের ভরসা আছে।”
এদিকে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আবার বক্তব্য, বিধায়ক আদালতে গিয়ে ‘সিন ক্রিয়েট’ করার চেষ্টা করেছেন। আজ যখন আদালত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন এই ভাষাতেই বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সৈকতবাবু। যদিও মামলার ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বলছেন, “আমি আদালতের উপর ভরসা রাখছি।”
এদিন আদালতের নির্দেশের পর যুব তৃণমূল নেতার আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত বলছেন, “আমরা আশা করেছিলাম, আজ আমাদের পক্ষে কোনও নির্দেশ পাব। সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন করা হয়েছিল। সেটি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। আগামিকাল আমরা জাজেস কোর্টে আবেদন করব।”
এদিকে জেলা যাওয়ার পর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে। আপাতত সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন তিনি।