Jalpaiguri: অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন, সকালেও গা ম্যাজম্যাজ করছিল, তবে ঘরের ভিতরে তাকাতেই মাথায় হাত নিমাইয়ের পরিবারের

Jalpaiguri: সকালে ওঠবার পর সবাই লক্ষ করে তাঁদের মাথা ঝিমঝিম করছে। এরপর বিছানা থেকে কোনও মনে নিচে নেমে দেখতে পান জানালার গ্রিল ভাঙা। দরজা খোলা। দুটি ঘরের থেকে আলমারি থেকে নগদ আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা প্রায় ৮০ গ্রাম সোনার গয়না এবং ৫০০ গ্রাম রুপো নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল।

Jalpaiguri: অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন, সকালেও গা ম্যাজম্যাজ করছিল, তবে ঘরের ভিতরে তাকাতেই মাথায় হাত নিমাইয়ের পরিবারের
তাজ্জব গোটা পরিবারImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2024 | 7:42 PM

ময়নাগুড়ি: এই মে মাসের ঘটনা। ময়নাগুড়িতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে তন্দ্রাচ্ছন্ন করে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফের একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটল ময়ানাগুড়িতে। বিকেলেও তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থা কাটেনি বাড়ির লোকের। তার মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

জানা গিয়েছে, বাড়ির সকলকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করার পর নগদ সাড়ে আট লক্ষ টাকা, ৮০ গ্রাম সোনা ও ৫০০ গ্রাম রূপো চুরি করে পালাল চোরের দল। এমন বড়সড় চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে ময়নাগুড়িতে। জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের উল্লা ডাবরি এলাকার বাসিন্দা নিতাই পাল। তিনি পেশায় সিমেন্ট ব্যবসায়ী। শনিবার রাতে তাঁর বাড়ির লোকেরা রাতের খাওয়া সেরে টিভি দেখছিলেন। এরপর সকলের প্রায় একসাথে ঘুম পেলে তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন।

সকালে ওঠবার পর সবাই লক্ষ করে তাঁদের মাথা ঝিমঝিম করছে। এরপর বিছানা থেকে কোনও মনে নিচে নেমে দেখতে পান জানালার গ্রিল ভাঙা। দরজা খোলা। দুটি ঘরের থেকে আলমারি থেকে নগদ আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা প্রায় ৮০ গ্রাম সোনার গয়না এবং ৫০০ গ্রাম রূপো নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। এরপর খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানায়।

এ প্রসঙ্গে নিমাই চন্দ্র পাল বলেন, “রাতের খাবার খেয়ে আনুমানিক দশটা এগারোটা নাগাদ বাড়ির লোক ঘুমিয়ে পড়ি। যদিও আমরা আরও দেরিতে ঘুমাই। কিন্তু গতকাল বাড়ির সকলে আগেই ঘুমিয়ে পড়ি। কারণ সকলের চোখে ঘুমাচ্ছন্ন ভাব ছিল। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরিবারের বাকি লোকজন লক্ষ্য করেন ঘরের দরজা খোলা এবং আলমারির লকার খোলা এবং জিনিসপত্র ছিটিয়ে রয়েছে।” তাপস পাল বলেন, “আমাদের লোহা,সিমেন্টের ব্যবসা রয়েছে। আমরা সাধারণত এত টাকা বাড়িতে রাখি না। গতকাল প্রচণ্ড বৃষ্টির জন্য ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে যেতে পারিনি। সেই টাকাগুলো বাড়িতেই ছিল। মনে হয় চোরের দল তাদের খাবারের সঙ্গে বা ঘরে কোওনভাবে ঘুমের কোনও ওষুধ স্প্রে করে এ কান্ড ঘটিয়েছে।” অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।