Jalpaiguri: হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওএসডি-র বিরুদ্ধে, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান সমাজকর্মী অঙ্কুর

Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়ের পুনর্নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিল।

Jalpaiguri: হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওএসডি-র বিরুদ্ধে, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান সমাজকর্মী অঙ্কুর
স্মারকলিপি জমা দিলেন অঙ্কুররা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2023 | 12:31 AM

জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইডি দফতরে ১৩ পাতার চিঠি দিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির সমাজকর্মী অঙ্কুর দাস। এবার ফের সুশান্ত রায় ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগপত্র পাঠালেন গ্রিন জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী অঙ্কুর দাস।

জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়ের পুনর্নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিল। তাই তাঁকে যাতে পুনরায় ওই পদে নিয়োগ করা হয় এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি গণদাবিপত্র দিয়েছেন সুশান্ত রায়ের অনুগামী স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।

অভিযোগ, ওই দাবিপত্রে সই করতে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছে এবং হুমকি প্রদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি দেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস।

সোমবার দুপুরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে উপস্থিত হয়ে গ্রিন জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংস্থার প্যাডে ওএসডি-র পুনর্নিয়োগ রদ সংক্রান্ত ওই অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন অঙ্কুর দাস।

অঙ্কুর দাস অভিযোগ করে বলেন, উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে থাকার অযোগ্য ডাক্তার সুশান্ত রায়। তিনি স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর ছেলেকেও তিনি অবৈধ ভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। তাঁর অত্যাচারে বহু চিকিৎসক সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পর সরকার ওই চিকিৎসকের গাড়ি থেকে নীল বাতিও খুলে দিয়েছেন। তাঁর নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। হুমকি যে দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কল রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন অঙ্কুর। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সে সব প্রমাণ তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদার জানিয়েছেন, সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ পত্র অবশ্যই তিনি যথাস্থানে পাঠিয়ে দেবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন স্বাস্থ্য কর্মীরা হুমকির মুখে পড়েছেন এমন অভিযোগ তিনি এখনও পর্যন্ত পাননি। পেলে নিশ্চয়ই খতিয়ে যথোপযুক্ত ব্যাবস্থা নেবেন।

এই বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুশান্ত রায়ের সঙ্গে। তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই চিঠির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর দাবি, মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে এই পদে আর থাকতে চান না তিনি।