Jalpaiguri: তৃণমূল নেত্রীর দুয়ারে সিপিএম নেতা! সৌজন্যের রাজনীতি দেখল জলপাইগুড়ি
Jalpaiguri: বাম নেতাদের ফিরিয়ে দিলেন না নেত্রী। ফের একবার সৌজন্যের রাজনীতি দেখা গেলো জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি: তৃণমূল নেত্রীর দুয়ারে গিয়ে চাঁদা চাইলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ। বাম নেতাদের ফিরিয়ে দিলেন না নেত্রী। ফের একবার সৌজন্যের রাজনীতি দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় জলপাইগুড়ি জেলার রাজনৈতিক পরিবেশ একবারেই ভিন্ন, অন্তত তেমনটাই দাবি করেন সেখানকার রাজনীতিবিদরা। ভোটের সময় রাজনৈতিক ভেদাভেদ প্রকট থাকলেও ভোট মিটে গেলে এই জেলায় তেমন ভাবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখা যায় না। এই জেলায় সাধারতৃনমূল নেত্রীর দুয়ারে গিয়ে চাঁদা চাইলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ। বাম নেতাদের ফিরিয়ে দিলেন না নেত্রী। ফের একবার সৌজন্যের রাজনীতি দেখা গেলো জলপাইগুড়িতে।
রাজ্যের অন্যান্য জেলা গুলির তুলনায় জলপাইগুড়ি জেলার রাজনৈতিক পরিবেশ একবারেই ভিন্ন। ভোটের সময় রাজনৈতিক ভেদাভেদ প্রকট থাকলেও ভোট মিটে গেলে এই জেলায় তেমন ভাবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখা যায় না। এই জেলায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও পারস্পরিক সম্পর্ক খুব ভাল। তারই নজির এবার আরও একবার দেখা গেল পাতকাটা এলাকায়।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। গ্রামেগঞ্জে থাকা বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে, তাঁদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে সারা ভারত কৃষক সভার সংগঠনের পক্ষ থেকে পদযাত্রা-সহ একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। আর এই কর্মসূচি গুলিকে বাস্তবায়িত করতে আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাঁদের বিভিন্ন দাবি সম্মিলিত লিফলেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
বুধবারও তেমন কর্মসূচি নিয়ে জলপাইগুড়ি পাতকাটা এলাকায় চলে আসেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ তথা কৃষক নেতা জীতেন দাস। চাঁদা সংগ্রহ করতে করতে তিনি চলে যান তৃণমূল পরিচালিত পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিতা রাউতের বাড়িতে। সিপিএম নেতাদের দেখে ফিরিয়ে দেননি অনিতা দেবী। তার সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য করেন তিনি।
অনিতা রাউত বলেন, “ওঁরা আমার বাড়ি এসে আমাকে লিফলেট দিয়ে আর্থিক সাহায্য চাইলেন। আমি আমার সাধ্যমতো সাহায্য করলাম।”
জীতেন দাস বলেন, “আমরা সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক গন সাহায্য সংগ্রহ করছি। আমরা সমস্ত বাড়িতে যাচ্ছি। মানুষ আমাদের সাহায্য করছে। আমরা অনিতার বাড়িতেও গিয়েছিলাম। জানতাম না ওঁ প্রধান। কিন্তু ওঁ হাসিমুখে আমাদের আর্থিক সাহায্য করেছেন। খুব ভালো লাগল। মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও পারস্পরিক সম্পর্ক খুব ভাল।” আরও একবার রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির দেখা গেল জলপাইগুড়িতে।