Malbazar: দুর্যোগের রাত, পায়ে-পায়ে দোতলায় উঠে গেল ‘ত্রাস’
Malbazar: ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি জেলার মেটেরি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।
জলপাইগুড়ি: গভীর রাত। বাইরে তখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। খিদের চোটে এদিক ওদিক ঘুরেও ফল হয়নি। একে দুর্যোগ, তার উপর খাবার নেই। তাই পেটের টানে পায়ে পায়ে সে উঠে পড়েছিল রাস্তার পাশে একটি বাড়ির দোতলায়। আলো-আঁধারিতে সেই ‘ভয়ানক’ দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিল গৃহকর্তার ছেলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই আতঙ্ক গ্রাস করে গোটা এলাকায়।
ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি জেলার মেটেরি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। মাঝেমধ্যেই সেখানে চিতাবাঘের উপদ্রবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। কখনও ছাগল আবার কখনপ মুরগি, সুযোগ পেলেই সাবাড় হয়ে যায় গৃহপালিত পশু। এবার খাবার না পেয়ে রীতিমত সিঁড়ি বেয়ে গৃহস্থের বাড়ির দোতলায় উঠে গেল চিতাবাঘ। তাও আবার দুর্যোগের গভীর রাতে।
জানা গিয়েছে, গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন দক্ষিণ ধুপঝোরা ভবেশ্বর পাড়া এলাকায় চিতাবাঘের হানার খবর এসেছে। সোমবার রাত প্রায় ১টা নাগাদ একটি চিতাবাঘ খাদ্যের লোভে ঢুকে পরে এলাকার বাসিন্দা বাবুল হোসেনের বাড়িতে। বৃষ্টির সময় রাস্তায় চিতাবাঘটি কোনও খাবার না পেয়ে সোজা সিঁড়ি দিয়ে কাঠের দোতলা ঘরের বারান্দায় ওঠে পরে। সেখানেও চিতাবাঘ কোনও খাবার না পেয়ে আবার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসে। ওই সময় বিষয়টি টের পায় গৃহমালিক বাবুল হোসেনের ছেলে তজমল হক। তিনি দরজা খুলে দেখেন যে চিতাবাঘটি বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন।
এলাকাবাসীর দাবি, পাশেই রয়েছে কয়েকটি ছোট চা বাগান। বাগান থেকে বেরিয়ে মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘ বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে ছাগল, মুরগি নিয়ে যায়। কিন্তু এবার একেবারে দোতলা ঘরে উঠে যাওয়ায় ওই এলাকার বাসিন্দারা রীতিমত আতঙ্কিত। বাবুল হোসেন বলেন, এরআগে এইভাবে সিঁড়ি দিয়ে দোতলা ঘরে কোনওদিন চিতাবাঘ ওঠেনি।