Jalpaiguri : থেকেও ‘নেই’ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা দিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
Jalpaiguri : স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিকিৎসক বেশিরভাগ সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন না। এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেজন্যই আজ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
জলপাইগুড়ি : খাতায়-কলমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক রয়েছেন। অভিযোগ, অনেক সময়ই আসেন না তিনি। তাঁর অবর্তমানে রোগী দেখেন নার্স। ওষুধও দেন তাঁরাই। এমনই অব্যবস্থার অভিযোগ উঠে এসেছে জলপাইগুড়ির সাকোয়াঝোরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ঘিরে। শুক্রবার এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটে তালা লাগিয়ে দেন। প্রায় ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
সাকোয়াঝোরা গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। নাম দেবাশিস দাস। আর রয়েছেন দুই নার্স। আজ সকাল থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা করাতে এসে বসেছিলেন। অন্যান্য দিনের মতো আজও চিকিৎসক না আসায় নিরাশ হয়ে ফিরে যান অনেকে। দীর্ঘদিন থেকে এই একই অবস্থা চলছে বলে রোগীদের অভিযোগ। এর আগেও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তিনি মাঝেমধ্যেই ৮-১০ দিন টানা হাসপাতালে আসেন না বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সেসময়। তবে পরিকাঠামগত কিছু উন্নয়ন হলেও চিকিৎসকের সমস্যা মেটেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সেই কারণেই আজ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ভিতরে আটকে রাখা হয় সেখানকার কর্মী ও নার্সদের। টানা ৩ ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধুপগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ তালা খুলে তাঁদের উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
যদিও চিকিৎসক দেবাশিস দাস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, গ্রামবাসীরা মিথ্যে অভিযোগ করছেন। আজ কেন আসেননি তিনি ? ওই চিকিৎসক বলেন, ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আজ তাঁকে অন্য কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেজন্যই তিনি আসতে পারেননি।