ICDS: গরমে নাজেহাল বাচ্চাগুলো, ওদিকে বিল কমাতে ক্লাসরুমের পাখা বন্ধ করে দিয়েছেন দিদিমণিরা

Jalpaiguri: একইসঙ্গে অভিযোগ, এই স্কুলের জল নোংরা। সেই জল দিয়ে রান্না করা হয়। অভিযোগ, শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে পাঁচটিরও বেশি ফ্যান থাকলেও এই গরমে ফ্যান বন্ধ করে রাখেন স্কুলের মুখ্য সহায়িকা।

ICDS: গরমে নাজেহাল বাচ্চাগুলো, ওদিকে বিল কমাতে ক্লাসরুমের পাখা বন্ধ করে দিয়েছেন দিদিমণিরা
ক্লাস চলছে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 9:32 PM

জলপাইগুড়ি: শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে গরমে নাজেহাল পড়ুয়ারা। কিন্তু ক্লাসরুমে চলে না পাখা। এদিকে আবার বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২ হাজার টাকা। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার লোকজন। এমনই করুণ চিত্র দেখা গেল ময়নাগুড়ি উল্লারডাবরি হরি মন্দির শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে। বৃষ্টি থামার পর এখন তেজ বাড়াচ্ছে গরম। পুড়ছে উত্তরের জেলাগুলি। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্লাসরুমের ফ্যান বন্ধ করে ক্লাস করানোর অভিযোগ উঠল শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের মুখ্য সহায়িকার বিরুদ্ধে। তিনি মেইন সুইচ বন্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ।

একইসঙ্গে অভিযোগ, এই স্কুলের জল নোংরা। সেই জল দিয়ে রান্না করা হয়। অভিযোগ, শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে পাঁচটিরও বেশি ফ্যান থাকলেও এই গরমে ফ্যান বন্ধ করে রাখেন স্কুলের মুখ্য সহায়িকা। ফলে গরমে রীতিমতো জামা খুলে শ্রেণিকক্ষে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা করতে দেখা যায়। মুখ্য সহায়িকা সুমিত্রা শিকদার বলেন, “আসলে লাইনটা আমাদের একটা ঘরেই ছিল। বিডিও অফিস থেকে যে লাইন করে দেওয়া হয়, সেটা একটা ঘরেই ছিল। অন্য ঘরে ছিল না বলে আমি ভাবলাম একটা ঘরের বাচ্চারা সুবিধা পাবে শুধু, তাই হয়ত…। আমার কাছে তো সব বাচ্চাই সমান। সেটাই ভাবছিলাম।” যদিও পাশের ঘরে ফ্যান রয়েছে। এ বিষয়ে মুখ্য সহায়িকার যুক্তি, “পাখা থাকলেও ও ঘরে বিদ্যুৎসংযোগ নেই। আমি দু’ একদিনের মধ্যেই করে দেব সব।”

এক অভিভাবক রাজু সেন বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে এই পরিস্থিতি। দিদিমণিকে বলেছি। তিনি বলেন, বেশি টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছে। তাই ফ্যান বন্ধ। গরমে আমাদের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তাই বাচ্চাদের নিয়মিত স্কুলেও পাঠাই না। এই গরমে বাচ্চাগুলো কী করে পড়াশোনা করবে বলুন তো? এখানে তো জলও খুব নোংরা। সেই জল দিয়েই রান্না করে বাচ্চাগুলোকে খাওয়ায়।” মিতু সরকার নামে এক শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের সব ঘরে ফ্যান থাকলেও এক ঘরে কানেকশন আছে। বাকিগুলিতে নেই। আসলে লকডাউনের কিছু আগেই এগুলি লাগানো হয়েছিল। স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিল এসেছে ১২ হাজার টাকা। সেটা দেখা হচ্ছে। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।”