SFI-DYFI: শিক্ষক নিয়োগে বড় দুর্নীতি, এবার রাজনৈতিক লড়াইয়ে সিবিআইকে তথ্য দিয়ে দেবে বাম ছাত্র-যুবরা
SFI-DYFI: বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের সদস্যরা অভিযোগ করেন প্রাথমিক স্তর থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাঁদের দাবি, স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
জলপাইগুড়ি: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এবার জলপাইগুড়িতে বড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মাঠে নামতে দেখা গেল বাম ছাত্র-যুবদের। শিক্ষক নিয়োগে সারা রাজ্যজুড়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে ‘প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিস ঘুঘুর বাসা’ এই মর্মে পোস্টার সাঁটিয়ে দিল বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের (Leftist Students Organisation) সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার পাশাপাশি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ দফতরের গিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের আসতে দেখে তড়িঘড়ি দফতরের কোলাপসেবল গেট আটকে দেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মীরা।
এদিন বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের সদস্যরা অভিযোগ করেন প্রাথমিক স্তর থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাঁদের দাবি, স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে রাজ্য সরকার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকাারীরা। প্রয়োজনে তাঁরা সিবিআইকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছে।
ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দে বলেন, “আমরা আগে থেকেই বলছিলাম প্রাথমিক থেকে কলেজ, সমস্ত স্তরে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আগের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তীমোহন রায় তিনি সরাসরিভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়ির লোকেদের চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া টাকার বিনিময়ে প্রচুর লোককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদের জেলায় ইতিমধ্যে একজন টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন। তিনি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। আমরা চাই জলপাইগুড়ি জেলাতেও সিবিআই তদন্ত শুরু হোক। আমরা সিবিআইকে সমস্ত নথি সরবরাহ করব।”