MAA Canteen: ৫ টাকায় পেট ভরে ডিম ভাত, মেডিক্যালের সামনেই খুলল মা ক্যান্টিন
Maa Canteen: বুধবার জলপাইগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে মেডিক্যাল কলেজে পথ চলা শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়িতে মা ক্যান্টিনের এটি দ্বিতীয় ইউনিট বলে জানান চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। ৫ টাকায় ডিম ভাতের কথা শুনে নাক সিঁটকোতেন পারেন অনেকেই। তবে এখনও একটা বড় অংশের মানুষের কাছে এটাই অমূল্য।
জলপাইগুড়ি: রোগী তো হাসপাতালে ভর্তি থাকলে সেখান থেকে খাবার পাবেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয়দের খাবার খেতে গেলে খরচ পড়ে যায় অনেকটাই। সেই কথা মাথায় রেখেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সামনে চালু হল মা ক্যান্টিন। সেখানে ৫ টাকায় ডিম ভাত পাবেন রোগীর আত্মীয়রা।
বুধবার জলপাইগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে মেডিক্যাল কলেজে পথ চলা শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়িতে মা ক্যান্টিনের এটি দ্বিতীয় ইউনিট বলে জানান চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। ৫ টাকায় ডিম ভাতের কথা শুনে নাক সিঁটকোতেন পারেন অনেকেই। তবে এখনও একটা বড় অংশের মানুষের কাছে এটাই অমূল্য।
চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, পুষ্টিকর খাবার হিসাবে রোজই ডিম আর সবজি মেনুতে। পাপিয়া পালেন কথায়, “আমরা আগেই বলেছিলাম মা ক্যান্টিনের উদ্বোধন করব। মেডিক্যাল কলেজে সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসেও এবার খোলা হল। মাতৃমা আছে, শিশুবিভাগ, সিসিইউ আছে। বহু মানুষ আসেন। তাঁদের সুবিধা হবে এবার। ৫ টাকায় ডিম ভাত এখানে খাওয়ানো হবে। সঙ্গে একটা তরকারি থাকবে। রোগীর আত্মীয়রাও যাতে ঠিকমতো খাবার পান, তাঁদেরও তো সুস্থ থাকা দরকার। সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কুপন দেওয়া হবে। ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খাবার দেওয়া হবে। একসঙ্গে ৪০ জন বসে খেতে পারবেন।” তিনি জানান, আগামীতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও এমন ক্যান্টিন চালু হবে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ রোগীর পরিজন খাবার পাবেন।
এদিন মা ক্যান্টিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমরা আগেই বলেছিলাম মা ক্যান্টিনের উদ্বোধন করব। মেডিক্যাল কলেজে সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসেও এবার খোলা হল। মাতৃমা আছে, শিশুবিভাগ, সিসিইউ আছে। বহু মানুষ আসেন। তাঁদের সুবিধা হবে এবার। ৫ টাকায় ডিম ভাত এখানে খাওয়ানো হবে। সঙ্গে একটা তরকারি থাকবে। রোগীর আত্মীয়রাও যাতে ঠিকমতো খাবার পান, তাঁদেরও তো সুস্থ থাকা দরকার। সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কুপন দেওয়া হবে। ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খাবার দেওয়া হবে। একসঙ্গে ৪০ জন বসে খেতে পারবেন।” বুধবারই প্রচুর রোগীর আত্মীয়রা মা ক্যান্টিনে খান। তাঁদের একটাই আর্জি, এই পরিষেবা যেন মাঝ পথে হোঁচট না খায়। নিয়মিত ডাল ভাতটুকু যেন কিনে খেতে পারেন তাঁরা।