Ration Scam Siliguri: ‘রায়সাহেব’-এর বাড়ির সামনে পড়ে একরাশ পোড়া রেশন কার্ড, হতবাক এলাকাবাসী
Ration Scam Siliguri: পেশায় একজন রেশন ডিলার হওয়া সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গের খাদ্য দফতরের অফিসে নাকি নিত্য যাতায়াত ছিল বিমল রায়ের। তাঁকে আধিকারিক থেকে কর্মী সবাই রায়সাহেব বলে চিনতেন। তাঁর বাড়ির সামনেই পোড়া কার্ড উদ্ধার হওয়ায় বেড়েছে বিতর্ক।
শিলিগুড়ি: রেশন দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ধান-গম-আটা সবকিছুতেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। ইডি হেফাজতে রয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই আবহেই সামনে এসেছে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা বিমল রায়ের নাম। পেশায় রেশন ডিলার বিমল রায়কে নাকি রায়সাহেব বলে চিনতেন এলাকার মানুষ থেকে খাদ্য দফতরের কর্মীরাও। বৃহস্পতিবার সকালে সেই রায়সাহেবের বাড়ির সামনে গিয়ে অবাক এলাকার বাসিন্দারা। পড়ে রয়েছে একরাশ পোড়া কাগজ। এদিকে, রায়সাহেবের দেখা নেই গত কয়েকদিন ধরে। তাঁর রেশন দোকান খোলা থাকলেও, তাঁকে দেখা যায়নি বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শিলিগুড়িতে মাটিগাড়ার পাথরঘাটায় বিমল রায়ের এক বিরাট বাড়ি রয়েছে। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই এলাকায় গিয়ে দেখেন অনেক পোড়া জিনিস পড়ে রয়েছে। কাছে গেলে দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে রেশন কার্ড। কয়েকটি আধ পোড়া কার্ডের নাম, নম্বরও পড়া যাচ্ছে। কোথায় থেকে এগুলি ওই এলাকায় এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিমল রায়ের ঘনিষ্ঠরা লোকজন বলছেন, এই সব নথির সঙ্গে বিমল রায়ের কোনও যোগ নেই। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, এমন কোনও নথি ওখানে পাওয়া যায়নি বলেই নাকি দাবি করেছেন বিমল রায়।
উল্লেখ্য, পেশায় একজন রেশন ডিলার হওয়া সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গের খাদ্য দফতরের অফিসে নাকি নিত্য যাতায়াত ছিল বিমল রায়ের। তাঁকে আধিকারিক থেকে কর্মী সবাই রায়সাহেব বলে চিনতেন। এমন অভিযোগও উঠেছে যে, বিমল রায়ের কথায় নাকি চাকরিও যেত কর্মীদের। সেই ব্যক্তির বাড়ির সামনে থেকে নথি উদ্ধার হওয়ায় বেড়েছে জল্পনা।