TET Scam: এবার সিবিআই-এর র্যাডারে উত্তরবঙ্গের শিক্ষক, টেট দুর্নীতে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন তিনি
CBI: বস্তুত, ২০১৫ সালের টেট পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে কিছু ভুল ছিল। তারপরেও সেই উত্তরের নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জলপাইগুড়ি: একদিক শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির জেরে তোলপাড় রাজ্য। অপরদিকে, চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। যার জেরে ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। সেই ঘটনায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরলেন মালবাজারের ক্রান্তি ব্লকের শিক্ষক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদস্য।
সূত্রের খবর, গত ২৩ শে জুলাই রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদস্য তথা ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে হাজিরা দিয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এরপর গতকাল কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পরে তিনি নিজস্ব নির্বাচিত এলাকা এবং ক্রান্তি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ বিষয়ে পঞ্চানন বাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘কোর্টের নির্দেশে আমরা সিবিআই এর বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে হাজিরা দিয়েছি এবং অফিসাররা যা জিজ্ঞাসা করেছেন তার যথাযথ উত্তর দেওয়া হয়েছে।’
বস্তুত, ২০১৫ সালের টেট পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রে কিছু ভুল ছিল। তারপরেও সেই উত্তরের নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পঞ্চাননবাবুকে কোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দল নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলেন। জানা গিয়েছে, বোর্ডের সদস্য হিসেবে অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার কেবল সই করতেন এবং রেজুলেশনে সভাপতি সই করতেন।পরের মিটিংয়ে সেই রেজুলেশন কপি শোনাতেন বলে খবর।
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে টেট প্রাইমারি বোর্ডের মেম্বার। এখনও আছি। ২০১৪ টেটের একটি প্রশ্নপত্র ভুল ছিল। ঠিক ভুল বলা যাবে না। দুটি উত্তরই সঠিক ছিল। তাই যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা হাইকোর্টে যান। মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দেন এই প্রশ্ন পত্রের সঠিক উত্তর কোনটা তা খুঁজে বের করতে হবে। তারপর এক্সপার্ট কমিটি মাধ্যমে জানা যায় যে দুটি উত্তরই সঠিক। এরপর বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যাঁরা দুটি উত্তর দিয়েছেন তাঁদের এক নম্বর দেওয়া হোক।আমরা রেজিস্টার কেবল সই করি। রেজুলেসনে সই করতাম না। প্রেসিডেন্ট সেখানে সই করত।’