Jalpaiguri: নীল-সাদা নয়, পুরনো ড্রেস চাই! স্কুল ইউনিফর্মের রং বদলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
Jalpaiguri: অভিভাবকদের সাফ দাবি, স্কুলের ঐতিহ্যবাহী কমলা-সাদা পোশাকই দিতে হবে পড়ুয়াদের। তাঁদের আরও দাবি সব স্কুলের পোশাক একই রংয়ের হলে কে কোন স্কুলের ছাত্র বা ছাত্রী তা চিহ্নিত করা যাবে না।
জলপাইগুড়ি: অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুলের ইউনিফর্মের রং বদলে হয়ে গিয়েছে নীল-সাদা। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে শিক্ষা মহলের অন্দরে। স্কুলে স্কুলে পড়ুয়াদের নীল-সাদা ইউনিফর্ম দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল গার্লস প্রাথমিকের ছাত্রীদের সরকারি নির্দেশিকা মেনে নীল-সাদা পোশাক দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, সরকারিভাবে দেওয়া ওই পোশাক নিতে অস্বীকার করলেন অভিভাবকরা। স্কুলে কর্তৃপক্ষের সামনেই তাঁরা এই পোশাক নিতে অস্বীকার করেন বলে জানা যায়। রং বদলের কারণে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান অনেক অভিভাবক। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।
অভিভাবকদের সাফ দাবি, স্কুলের ঐতিহ্যবাহী কমলা-সাদা পোশাকই দিতে হবে পড়ুয়াদের। তাঁদের আরও দাবি সব স্কুলের পোশাক একই রঙের হলে কে কোন স্কুলের ছাত্র বা ছাত্রী তা চিহ্নিত করা যাবে না। এমনকী নতুন পোশাক দেওয়া হলে স্কুলের এতদিনের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ হবে বলেও মত তাঁদের। এই সমস্ত দাবিকে সামনে রেখেই এদিন তাঁরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি আগামীতে স্কুলের চিরাচরিত পোশাক পরিয়েই তাঁরা তাঁদের স্কুলে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের দাবি এতদিন ধরে যে কমলা-সাদা ড্রেস ছিল পড়ুয়াদের তাই বহাল রাখতে হবে। নীল, সাদা, হলুদ যে রঙেরই নতুন পোশাক আসুক না কেন আমরা চাই না। বংশপরম্পরায় যেটা চলে আসছে সেটাই চাই।” আর এক অভিভাবক বলেন, “সবার ড্রেস এক হয়ে গেলে কাউকে চেনাই যাবে না। ১০০ বছরের বেশি স্কুলের বয়স। তার একটা ঐতিহ্য রয়েছে। সেখানে এখন নতুন ড্রেস এলে স্কুলের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ হবে। আমরা আগের ড্রেসই চাই।”