Knife Attack: পরপর ৮ জনকে ছুরির কোপ বসালেন যুবক, সাত সকালে ভয়াবহ ঘটনা ধূপগুড়িতে
Knife Attack: কী কারণে এমন কাজ করলেন ওই যুবক, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
ধূপগুড়ি : সাত সকালে ছুরি নিয়ে হামলা চালালেন এক যুবক। অভিযোগ, সামনে কেউ গেলেই তাঁকে ছুরির কোপ বসিয়ে দিচ্ছেন ওই যুবক। কোনও ক্রমে তাঁকে আটকানো গেলেও শনিবার সকাল থেকে অন্তত ৮ জনের শরীরে কোপ বসিয়েছেন তিনি। ধূপগুড়ির (Dhupguri) বানারহাটের ঘটনা। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধূপগুড়ি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কী কারণে এমন কাজ করলেন ওই যুবক, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পুলিশের অনুমান মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়াতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
সাত সকালে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের সজনাপাড়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই আহতদের নিয়ে যায় ধুপগুড়ি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছেন যে যুবক তাঁর নাম তইজুল ইসলাম। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাকি এভাবে ছুরি হাতে সবাইকে আক্রমণ করা শুরু করেন তিনি। একের পর এক ব্যক্তিকে ছুরি নিয়ে হামলা করতে শুরু করেন। পরে এলাকার বাসিন্দারা একসঙ্গে ধরে ওই যুবককে গণপিটুনি দেন বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত অবস্থায় তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনায় আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নূর হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, মনিজা খাতুন ও রপিনা খাতুন নামের সেই চারজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
এদিন প্রথমে আহত হন মজিনা খাতুন নামে এক মহিলা। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ ছুটে যান। তাঁকে বাঁচাতে গেলে বাকিদের ওপরও ছুরির কোপ বসানো হয় বলে অভিযোগ। কেউ ভয়ে সামনে যেতেই পারছিলেন না। এমনকী বাড়ির পিছন দিকে ওই যুবক আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও এতটা বাড়াবাড়ি আগে কখনও দেখা যায়নি। এদিন হঠাৎ কী হল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।