jalpaiguri: সংশোধনাগারে রমরমিয়ে চলছিল গাঁজা পাচার, হাতেনাতে ধরা পড়ল খোদ কারারক্ষী!
West Bengal: পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে বারোটি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে।
জলপাইগুড়ি: নিষিদ্ধ মাদক পাচার এবং মাদক সেবন নিয়ে একাধিকবার তোলপাড় হয়েছে দেশ। গ্রেফতারও হয়েছে একাধিক ব্যক্তি। আকছাড় খবরের কাগজে এই ধরনের ঘটনার খবর উঠে আসে। আর এইবার জেলের ভিতর গাঁজা পাচারের অভিযোগ উঠল। খোদ কারারক্ষী গাঁজা পাচার করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাস্থান জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। সেখানে কারারক্ষী মহম্মদ মফিজুদ্দিনের নামে এইরকম গুরুতর অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই মফিজুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে বারোটি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
অভিযোগ,মফিজুদ্দিনের এই কারবার আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরেই সে সংশোধনাগারে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরপর আজ দুপুরে জেলের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে হাতে-নাতে ধরে জেল কর্তৃপক্ষর হাতে তুলে দেয় । পরে জেলের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্তে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আই সি অর্ঘ্য সরকার ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। তদন্ত শুরু হয়েছে।
জেলায় মাদক পাচারের গল্প নতুন নয়। কয়েকদিন আগে মাদক পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় খোদ তৃণমূল নেতার। পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিলেন তিনি। সেই নেতাই আবার উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে। তাও আবার ভিআইপি কার্ডে। সেই বিষয়টিকেই ইস্যু করল বিজেপি। ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকারের নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হস্তক্ষেপ দাবি জানায় বিজেপি।
গত ২১ অক্টোবর ৬০ লক্ষ টাকার মাদক পাচার করতে গিয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৌস্তভ তলাপাত্র। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও তিন জনকে। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে ২২ শে অক্টোবর আদালতে পেশ করে। এই খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘটনায় যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় গত ৩ বছর আগে যুব তৃণমুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কৌস্তভকে। কৌস্তভ তলাপাত্রর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য মিথ্যা, পাল্টা দাবি করে বিজেপি।
বিষয়টি প্রমাণ-সহ তুলে ধরতে সোমবার দুপুরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি0 সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তিনি দাবী করেন, গত কয়েক বছরে তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। গত ২০২০ সালে মার্চ মাসে বাংলার গর্ব মমতা এই কর্মসূচি লঞ্চিং অনুষ্ঠানের ভিআইপি আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম ছিল।তাই এই ঘটনার পেছনে আরও অনেক তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন: Tripura TMC: অবশেষে মিলল পুলিশি অনুমতি, ১৫ দফা শর্তে আগরতলায় অভিষেকের সভা