Jalpaiguri: ভাঙা পা নিয়ে রাস্তার ধারে অঝোরে কাঁদছিল শিশু, উদ্ধার করল পুলিশ
Jalpaiguri: আপাতত ওই শিশুকে চালসার মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। পুলিশ ওই শিশুটির বাড়ির লোকজনের খোঁজ চালাচ্ছে। বাড়ির লোকজনের সন্ধান পাওয়া গেলে, শিশুটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবাড়ি: রাস্তার ধারে বসে কাঁদছিল ছোট্ট এক শিশু। অঝোরে কান্না। একটি পা ভেঙে গিয়েছে। প্লাস্টার করা। সঙ্গে আর কেউ ছিল না। একা একাই রাস্তার ধারে বসে কাঁদছিল বাচ্চাটি। ঠিকভাবে কথাও বলতে পারছিল না। ছোট্ট শিশুটিকে এভাবে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসে মেটিলি থানার পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ওই শিশুকে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করে (Child Rescued) নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় শিশুটির। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির চালসা এলাকায়। আপাতত ওই শিশুকে চালসার মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। পুলিশ ওই শিশুটির বাড়ির লোকজনের খোঁজ চালাচ্ছে। বাড়ির লোকজনের সন্ধান পাওয়া গেলে, শিশুটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে চালসায় বাতাবাড়িমুখী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের টিয়াবন সংলগ্ন এলাকায় ওই অজ্ঞাতপরিচয় শিশুটিকে রাস্তার ধারে বসে থাকতে দেখা যায়। বাঁ পায়ে প্লাস্টার করা। অঝোরে কাঁদছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে ওই শিশুটিকে দেখতে পান। কিন্তু কেউই শিশুটিকে চিনতে পারছিলেন না। এলাকার কারও পরিবারের সন্তান নয় বলেই অনুমান করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অতঃপর তাঁরা খবর দেন মেটেলি থানায়। সঙ্গে সঙ্গে মেটেলি থানা থেকে এএসআই কামিনীমোহন সরকার ঘটনাস্থলে যান। শিশুটিকে রাস্তার ধারে বসে কাঁদতে দেখে তিনি ওই ছোট্ট বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
পরবর্তীতে ওই পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, তিনি খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান। দেখেন, বাচ্চাটি কাঁদছিল। কামিনীমোহনবাবু জানাচ্ছেন, ‘আমার কর্তব্য ছিল, শিশুটিকে উদ্ধার করা। পুলিশের তরফে তার খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবং তার বাড়ির লোকজনের খোঁজ চালানো হচ্ছে। পরবর্তীতে যদি শিশুটির পরিবারের খোঁজ না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালেই তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।