Potato Price: ৯০০ টাকায় হবে না, কুইন্টালে ১৩০০ চাই! সরকারের ঘোষণার পরেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ আলু চাষিদের
Potato Price: আলু চাষিদের দাবি, অবস্থা যা তাতে চাষের খরচটুকুও উঠছে না। অথচ প্রায় প্রতি বছরই বছরের বেশিরভাগ সময় ৩০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কিলো দরে আলু কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আলু চাষি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে দীর্ঘদিন ধরেই ১৩০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল সহায়ক মূল্যে আলু কেনার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন।

নীলেশ্বর সান্যাল ও হীরক মুখোপাধ্যায়ের রিপোর্ট
জলপাইগুড়ি ও বাঁকুড়া: কখনও ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবেছে জমি, আবার কখনও অকাল বৃষ্টিতে মাঠেই ধরেছে পচন। মরসুমের শুরু থেকেই মাঠে আলু বসিয়ে মাথায় হাত চাষিদের। এরইমধ্যে কয়েকদিন আগেই একটানা প্রায় সপ্তাহভর বৃষ্টিতে ভিজেছে একাধিক জেলা। হুগলি থেকে বাঁকুড়া, সর্বত্রই অকাল বৃষ্টিতে চিন্তা বেড়েছে চাষীদের। একাধিক জায়গায় তো একেবারে মাছ ধরার কায়দায় শেষবেলায় ডুবন্ত আলু তুলতে দেখা গিয়েছে চাষিদের। উঠেছে ক্ষতিপূরণের দাবি। যদিও চাষিদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে কয়েকদিন আগেই কুইন্টাল প্রতি আলুর সহায়ক মূল্য ৯০০ টাকা করার ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, একাধিক জেলা থেকে উঠছে ভিন্ন দাবি। ৯০০ নয়, আলুর সহায়ক মূল্য দিতে হবে প্রতি কুইন্টালে ১৩০০ টাকা। মাঠে নামল কৃষকদের সংগঠন।
এই দাবিকে সামনে রেখে জলপাইগুড়িতে পথ অবরোধ করতে দেখা গেল বামপন্থী কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সদস্যদের। শুক্রবার জলপাইগুড়ি ৭৩ মোড় এলাকায় প্রায় ১ ঘন্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে দেখান তাঁরা। আলুর সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য দাবিও করা হয় এই আন্দোলন থেকে। একই ছবি দেখা গেল বাঁকুড়াতেও। ১৩০০ টাকা কুইন্টাল দরে সহায়ক মূল্যে আলু কেনা, চালের দর কমানো-সহ বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় প্রাদেশিক কৃষক সভা।
এদিন বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে বাঁকুড়া পুরুলিয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান প্রাদেশিক কৃষক সভার সদস্যরা। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে চলা এই অবরোধের জেরে যানজটও তৈরি হয় এলাকায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে আলু চাষিদের দাবি, অবস্থা যা তাতে চাষের খরচটুকুও উঠছে না। অথচ প্রায় প্রতি বছরই বছরের বেশিরভাগ সময় ৩০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কিলো দরে আলু কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আলু চাষি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে দীর্ঘদিন ধরেই ১৩০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল সহায়ক মূল্যে আলু কেনার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি কৃষক বাজারে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা ও ক্রমবর্ধমান চালের দর কমানোর দাবিও জানানো হচ্ছিল। এবার সেই দাবিগুলিকে সামনে রেখে এদিন ফের আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটল প্রাদেশিক কৃষক সভা। পুয়াবাগান ছাড়াও জেলার জয়পুর ব্লকের চাতরা মোড়, হীড়বাঁধ ব্লকের হাতিরামপুর মোড় ও গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দুর্লভপুর মোড়েও একই দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় প্রাদেশিক কৃষক সভা।





