Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Election in Bengal: ভোটের আগেই ‘ছাপ্পা দিবস’ বাংলাতেই! কী হয়েছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি?

Election in Bengal: বৃহস্পতিবার শহর ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কংগ্রেস কর্মীরা বুকে কালো ব্যাচ পরে শহরে একটি মৌন মিছিল বের করেন। পৌরসভার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতারা।

Election in Bengal: ভোটের আগেই ‘ছাপ্পা দিবস’ বাংলাতেই! কী হয়েছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি?
মিছিল করল কংগ্রেস Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 27, 2025 | 9:48 PM

জলপাইগুড়ি: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। আর বছরের শুরু থেকেই ভোটের আঁচে ধীরে ধীরে তপ্ত হচ্ছে বাংলা। এখন তো বঙ্গ রাজনীতির পাড়ায় জোর শোরগোল চলছে ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে। জালি ভোটার ধরতে অ্যাকশন নিচ্ছে নির্বাচন কমিশনও। অন্যদিকে ভোট এলেই ‘ছাপ্পা’ শব্দটার ব্যবহার যেন কোনও এক ‘অজ্ঞাত’ কারণে চড়চড়িয়ে বেড়ে যায়। এবার বাংলাতেই হয়ে গেল ‘ছাপ্পা দিবস’। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই এক অভিনব কর্মসূচি নিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু, কী বলছে ছাপ্পা দিবসের ইতিহাস? 

২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়িতে হয়েছিল পৌরসভা নির্বাচন। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ওইদিন ভোট শুরুর পর বেলা গড়াতেই জলপাইগুড়ি পৌর এলাকার বিভিন্ন বুথ দখল হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। একের পর এক ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোটের খবর শোরগোল ফেলে দেয় শহরে। পরে ভোটের ফল বের হলে দেখা যায় পৌরসভার ২৫ টি আসনের মধ্যে ২২ টি আসন পায় তৃণমূল। যদিও পরবর্তীতে এ নিয়ে জল গড়ায় আদালতে। 

আদালতে মামলা দায়ের করে কংগ্রেস। সেই মামলা আজও বিচারাধীন। সূত্রের খবর, তারপর থেকেই নিয়ম করে কংগ্রেস কর্মীরা ২৭ ফেব্রুয়ারী দিন টিকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। কেউ কেউ আবার মজা করে বলেন ‘ছাপ্পা দিবস’। 

বৃহস্পতিবার শহর ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কংগ্রেস কর্মীরা বুকে কালো ব্যাচ পরে শহরে একটি মৌন মিছিল বের করেন। পৌরসভার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন। কংগ্রেস নেতা তথা বর্তমান কাউন্সিলর অম্লান মুন্সী বলেন, “বাইশ সালে আজকের দিনে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছিল বর্তমান পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। দেদার ছাপ্পা ভোটের শিকার হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। হার মানতে হয়েছিল। ১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী জয়ন্তী পাল পরাজিত হয়ে আদালতে মামলা করেন। এলাকার মানুষ এই দিনের কথা কখনও ভুলতে পারবে না।”