Sikkim Flood: এবার জলের স্রোতে ভেসে আসছে মৃতদেহ, গ্যাস সিলিন্ডার, গাড়ি-বাড়ির ধ্বংসাবশেষ
Sikkim Flood: ভোররাতের কাকভাঙা বৃষ্টিতে লোনক হ্রদে ফাটল ধরে। সেনাছাউনিতে ভেসে যায়। ২৩ জন জওয়ান জলের স্তরে ভেসে যান। তাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি।
জলপাইগুড়ি: তিস্তার হড়পা বানে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ভেসে গিয়েছে। গোটা দেশের সঙ্গে কার্যত বর্তমানে বিচ্ছিন্ন সিকিম। প্রবল বেগে তিস্তার জল নেমে আসছে উত্তরবঙ্গের সমতলে। হু হু করে নেমে আসছে জল। আর জল স্রোতে ভেসে আসছে মৃতদেহ। বেশ কয়েকটি দেহ ইতিমধ্যে ভেসে আসতে দেখা গিয়েছে। জলে ভেসে আসছে গাড়ি, মোটরবাইকের ভাঙা অংশ। এমনকি জলে গ্যাস সিলিন্ডারও ভেসে আসতে দেখা যাচ্ছে। তবে মৃতদেহ গুলি কার, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন। সেচ দফতর, পুলিশ প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাঁরাই দেহগুলি জল থেকে টেনে আনার চেষ্টা করছেন। কিছু ক্ষেত্রে তা সম্ভব হচ্ছে।
ভোররাতের কাকভাঙা বৃষ্টিতে লোনক হ্রদে ফাটল ধরে। সেনাছাউনিতে ভেসে যায়। ২৩ জন জওয়ান জলের স্তরে ভেসে যান। তাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি।
তিস্তার জলস্তর ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় বইছে। জলে ভেসে যাচ্ছে দোতলা বাড়িও। সেনার তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, পরিস্থিতি আরও ভয়াল হতে চলেছে। কারণ লোনক হ্রদে আরও বড় ফাটল দেখা গিয়েছে। ফলে তিস্তার জলস্তর আরও ২৫ ফুট পর্যন্ত বাড়তে চলেছে। পরিস্থিতি কী জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা বলা কঠিন।
তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। সকাল ১০ টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউমেক। কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বা কত কী ক্ষতিগ্রস্ত, তা এখনই বুঝতে পারছে না প্রশাসন।