Jalpaiguri: ডিআইজির অফিসের পর ফের! পৌরসভায় উদ্ধার বিষধর কোবরা
Snake: তবে মানুষের ভিড় দেখে সাপটিকে বেরিয়ে পাশের একটি ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নেয়।
জলপাইগুড়ি: ফের বিষধর সাপ উদ্ধার জেলায়। এবার খোদ পুরসভার ভিতর থেকে উদ্ধার হল একটি বিষধর গোখরো সাপ। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়িতে (Dhupguri)।
জানা গিয়েছে,পুজোর কারণে বেশ কয়েকদিন থেকে বন্ধ ছিল সমস্ত সরকারি অফিস। আর সেই সুযোগে অফিসে আশ্রয় নিয়েছে বিষধর সাপ। রীতিমত বাসা বানিয়ে ফেলেছে বিভিন্ন জায়গায়।
এবার পুজো শেষ হতেই অফিস খুলতে শুরু করেছে। আর অফিস খুলতেই চোখ কপালে ধূপগুড়ি পৌর কর্মী দের। পুরসভার গেটের সামনে বিষধর গোখরো সাপ ফণা তুলে বসে রয়েছে। সাপ দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
তবে মানুষের ভিড় দেখে সাপটিকে বেরিয়ে পাশের একটি ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নেয়। পথচারিরা প্রথম সাপটিকে দেখতে পায়। সঙ্গে-সঙ্গে মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। তিনি ঘটনাস্থানে গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন। সাপটি উদ্ধারের পর আতঙ্ক মুক্ত হয় এলাকা।
উল্লেখ্য, জেলায় সাপের বাড়বাড়ন্ত ক্রমশ চোখে পড়ার মতো। দু’দিন আগেই পুলিশ কর্তার বাথরুমে ঢুকে গেলো স্পেকটিক্যাল কোবরা। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টার বাথরুমের পাইপ ভেঙে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাপটিকে। পরে ফের নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে দেন পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী।
শনিবার ডিআইজি ( জলপাইগুড়ি রেঞ্জ) ই আন্নাপা এর অফিসে কাজ করছিলেন অফিস কর্মীরা। বিকেলের দিকে এক কর্মী ডিআইজি চেম্বারের কাছে যেতেই ফোঁস-ফোঁস আওয়াজ শুনতে পান। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর। এরপর অন্যান্য কর্মীদের ডেকে চেম্বারের বাইরে থেকে আশপাশের এলাকা ভালো করে খুঁজে দেখতে বলেন। তখনই দেখেন চেম্বার সংলগ্ন বাথরুমের বেসিনের পাইপ থেকে ঝুলছে সাপের লেজ। এরপর তারা খবর দেন জলপাইগুড়ির পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে।
তিনি এসে দেখেন সাপটি ততক্ষণে পাইপের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। তখন বেসিন থেকে ক্রমাগত জল ঢালতে থাকেন। এইভাবে প্রায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পরও সাপটি বের না হলে তিনি বেসিনের পাইপ ভেঙে অক্ষত অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
অফিসের বড়বাবু কার্তিক চ্যাটার্জী বলেন, “ডিআইজি সাহেবের চেম্বারের কাছে আচমকা ফোঁস ফোঁস আওয়াজ শুনতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আমাদের কর্মীরা। এরপর আমরা খবর দেই বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে। তিনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।”
ঘটনায় বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী জানান, “এটি একটি স্পেকটিক্যাল কোবরা সাপ। লম্বায় ৫ ফুটের বেশি ছিল। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে সাপটির কোনও জিনগত বা অন্য কোনও ত্রুটির ফলে তার ফনায় স্পেকটিক্যাল বা চশমার যেই ছাপ থাকে তা ছিলোনা।”