Jalpaiguri: বাজারে এসে ধরা পড়ল করোনা! ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড় বাবার
Corona: রোজকার মতো বাজারে এসেছিলেন। কিন্তু বাজার করা আর হল না পৌঢ়ের। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসায় পুত্র সন্তানকে বাজার থেকে নিয়ে কোভিড হাসপাতালে ছুটলেন এক বাবা।
জলপাইগুড়ি: রোজকার মতো বাজারে এসেছিলেন। কিন্তু বাজার করা আর হল না পৌঢ়ের। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসায় পুত্র সন্তানকে বাজার থেকে নিয়ে কোভিড হাসপাতালে ছুটলেন এক বাবা। মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছে?
দোকান-বাজারে মানুষ করোনা বিধি মানছেন কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঢুঁ দিচ্ছিলেন পুলিস কর্তারা। এদিকে মুখে মাস্ক না পরেই ছোট্ট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে এসেছিলেন এক দম্পতি বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের আটকায় পুলিশ। এর পর সেখানেই করানো হয় তাঁদের করোনা টেস্ট। টেস্টের পর দেখা যায় ওই মহিলা কোভিড নেগেটিভ। কিন্তু তাঁর স্বামী ও ছোট্ট ছেলে করোনা পজিটিভ!
এর পর বাজার থেকেই পুরসভার পক্ষ থেকে বাবা-ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয় কোভিড হাসপাতালে। তাঁদের রওনা করে দিয়ে স্ত্রী চলে যান বাড়িতে। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বাড়ি জলপাইগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
এদিকে জলপাইগুড়ি শহর ও জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ মাত্রা বৃদ্ধি পেতেই পথে নামল রেড ভলেন্টিয়ার্স। গত কয়েকদিন ধরে সাংগঠনিক পর্যায়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে পথে নামেন তারা। জেলা শহর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় টোটোতে মাইক বেঁধে পথে নেমে করোনার তৃতীয় ঢেউ সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক প্রচারের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহরের ১৫, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন কোভিড আক্রান্তের বাড়ি স্যানিটাইজ় করেন তাঁরা। একই সঙ্গে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক সহায় সম্বলহীন অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন রেড ভলেন্টিয়াররা।
ঠিক তখনই তার পাশে থাকা ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় হাসমুখ আলি নামে এক অসুস্থ ব্যক্তিকে বারবার হাসপাতালে ভর্তি করার আবেদন জানিয়েও কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। কার্যত বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যায় ওই ব্যক্তির। মঙ্গলবার দিনভর এমন টুকরো টুকরো ছবি ধরা পড়েছে সারা জলপাইগুড়ি শহরে। এদিন শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯। পাশাপাশি জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১৩৪ জন বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে।
এদিকে করোনা বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বাজারে বাজারে যান কোতয়ালি থানার পুলিশ অফিসার ও কর্মীরা। মাস্ক পরছেন কিনা, শারীরিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে কিনা, নজর দিয়ে দেখেন তাঁরা। বাজারে বাজারে চলছে করোনা টেস্টও।
আরও পড়ুন: Purba Medinipur: বাড়ছে করোনা, এবার পূর্ব মেদিনীপুরে এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা প্রশাসনের