Maynaguri Hospital: দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে চিকিৎসাই করল না সরকারি হাসপাতাল, প্রতিবাদ করতে কাউন্সিলরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার

Jalpaiguri: ময়নাগুড়ি পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবন দাস। তারই এলাকার এক রোগীকে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

Maynaguri Hospital: দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে চিকিৎসাই করল না সরকারি হাসপাতাল, প্রতিবাদ করতে কাউন্সিলরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার
ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2022 | 7:46 PM

জলপাইগুড়ি: পথ দুর্ঘটনায় আহত এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। পরে বাড়ির লোক না এলে চিকিৎসা শুরু হবে না। এই কারণ দেখিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা চিকিৎসা করলেন না ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে। ঘটনার প্রতিবাদ করায় উল্টে কাউন্সিলরের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

ময়নাগুড়ি পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবন দাস। তারই এলাকার এক রোগীকে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমদিকে চিকিৎসা করতে চায়নি। এমনকী তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের এহেন আচরণে অবাক হয়েছেন কাউন্সিলর সহ অন্যান্যরা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপন সাহা। তিনি জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ি ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন কাউন্সিলর।

অভিযোগ, আহতর আত্মীয় পরিজন না আসার কারণে প্রথম দিকে তার চিকিৎসা শুরু করা হয়নি। এমনকী কাউন্সিলরের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে আধা ঘণ্টা পর শুরু হয় চিকিৎসা।

বাবন দাস বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি। আমাকে হাসপাতাল থেকে বলা হয় আহত ব্যক্তির বাড়ির লোক না এলে চিকিৎসা শুরু হবে না। এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই। কারণ একজন মানুষের বুকে তার নাম ঠিকানা লেখা থাকে না। আমরা যাঁরা রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত আমরা চিরকাল এইসব অসহায় লোককে এইভাবে হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করাই। আমরা জন প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে যদি এইভাবে দুর্ব্যবহার করা হয় তবে সাধারণ মানুষের কী হাল তা সহযেই অনুমেয়। আমরা বিষয়টি নির্দিষ্ট যায়গায় জানাবো।

ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান। তিনি টেলিফোনে জানান, রোগীকে চিকিৎসা করে সুস্থ করা হয়েছে। পরে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাগুড়িতে করোনা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। তাই হাসপাতালে মাস্ক ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিন কাউন্সিলর মাস্ক পরে আসেননি। তাই তাঁকে মাস্ক পরতে বলেছিলেন চিকিৎসকেরা। এতেই বচসা হয়েছে।’