Jalpaiguri: ২১ জুলাই কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, পথে নেশা চক্রের শিকার হয়ে তৃণমূল কর্মীর এ কী অবস্থা হল

TMC Worker: কোচবিহার জেলার নাটা বাড়ির বাসিন্দা হাসু শেখ। ২১ শে জুলাই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কলকাতায় পৌঁছন।

Jalpaiguri: ২১ জুলাই কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, পথে নেশা চক্রের শিকার হয়ে তৃণমূল কর্মীর এ কী অবস্থা হল
ঘরে ফিরলেন হারিয়ে যাওয়া তৃণমূল কর্মী (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2022 | 8:00 AM

জলপাইগুড়ি: দিনটা ছিল ২১ জুলাই। কোচবিহার থেকে এক যুবক কলকাতায় এসেছিলেন তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এরপর মালদা স্টেশনে ঘটল বিপত্তি। এক নেশা চক্রের শিকার হয়ে সর্বস্ব খোয়ান তিনি। তারপর জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের রেল লাইনে প্লাস্টিক কুড়চ্ছিলেন বলে খবর। শেষমেশ এক স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলেন ওই যুবক।

কোচবিহার জেলার নাটা বাড়ির বাসিন্দা হাসু শেখ। ২১ শে জুলাই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কলকাতায় পৌঁছন। কর্মসূচি সেরে আবার গত ২২ শে জুলাই তাঁরা ট্রেনে চড়ে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেন।

পথে মালদা স্টেশনে নামেন তিনি। এরপর আর কিছুই খেয়াল নেই তাঁর। পরদিন সকালে তাঁর জ্ঞান আসলে দেখেন তিনি স্টেশনে শুয়ে আছেন। সঙ্গে নেই কিছুই। জ্ঞান ফিরতেই বুঝতে পারেন তাঁর শরীর টলমল করছে। মাথাও কাজ করছে না। এরপর তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তাঁরা তাঁকে ট্রেনে বসিয়ে দেন। ট্রেনে উঠে তিনি দিক বিদিক শূন্য হয়ে যান। তার বাড়ি কোথায় তাও ভুলে যান।

শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি রোড় স্টেশন সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় এলাকার স্থানীয় মিষ্টি ব্যাবসায়ী কার্তিক দাস দেখতে পান এক যুবক বস্তা নিয়ে প্লাস্টিক কুড়োচ্ছে। তিনি তাঁকে ডেকে খাবার দেন। এরপর তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছুই বলতে পারছিলেননা। খালি তার বাড়ির লোকের মোবাইল নম্বর বলেন। এরপর কার্তিক বাবু তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা এসে উপযুক্ত প্রমান দিয়ে হাসু শেখকে বাড়ি নিয়ে যান। ওই মিষ্টি বিক্রেতা বলেন, ‘আমি রাত্রিবেলা শুনতে পাই আমাদের এলাকায় অল্প বয়সি একটি রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে। সবাই তাড়িয়ে দিচ্ছে। শুনতে পাচ্ছি ও নাকি ২১ জুলাই কলকাতা এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তারপর মালদায় গিয়ে হারিয়ে যায়। এরপর সেখানকার তৃণমূল কর্মীরা গিয়ে ওকে ট্রেনে তুলে দেয়। পরে আমি দেখতে পাই। ওর শরীর খুবই দুর্বল। বাড়ির ফোন নম্বর যেহেতু মনে ছিল সেই কারণে সুবিধা হয়েছে।’