Abhishek Banerjee: মমতার ছন্দেই সাধারণের ভিড়ে অভিষেক, জনতার দুয়ারে বসে খেলেন চা! শুনলেন সুখ-দুঃখের গল্প

Abhishek Banerjee : আমাদের স্যারকে একটু চা খাওয়াবেন? অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের আবদার শুনে প্রথমে কী করবেন বুঝতেই পারেননি মৌসুমী দেবী।

Abhishek Banerjee: মমতার ছন্দেই সাধারণের ভিড়ে  অভিষেক, জনতার দুয়ারে বসে খেলেন চা! শুনলেন সুখ-দুঃখের গল্প
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 1:20 PM

ময়নাগুড়ি: পিসির মতোই নিমেষে মিশে যেতে সাধারণের ভিড়ে। পিসির মতোই জননেতা হওয়ার দৌড়ে জনতাই যে শেষ কথা তা যেন আর একবার বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Trinamool Congress All India General Secretary Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার দুপুরে অভিষেক কেবলমাত্র ময়নাগুড়ির(Moynaguri) দোমহনির হাট পরিদর্শন করেননি, এক গৃহস্থ বাড়িতে বসে চা খেতে খেতে বেশে খানিক্ষন আলাপচারিতাও করেন সেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

এদিকে পাহাড় কিংবা সমতল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Trinamool Supremo Mamata Banerjee) প্রায়শই দেখা গিয়েছে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে। আম-আদমির দোকানে গিয়ে চপ ভাজা হোক বা মোমো কেনা, ভিভিআইপি-র তকমা ছেড়ে সবই করতে পারেন অবায়াসে। জনস্রোতই যে তাঁর শেষ গন্তব্য তাই যেন  বরাবর হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এবার যেন পিসির দেখানো পথেই নতুন মোড়কে হাঁটা শুরু করলেন ভাইপো। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাগুড়ির দোমহনি হয়ে ধূপগুড়িতে জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন অভিষেক। পথে দোমহনিতে তাঁর গাড়ি দাঁড় করান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় মানুষদের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। এমনকী দ্রুত তাদের দাবি-দাওয়া মেটানোরও নির্দেশ দেন।

ওই সময়েই স্থনায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন কথা বলার পর তিনি নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে চা খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। নেতার নির্দেশ বলে কথা! তাই যেই বলা সেই কাজ। নিরাপত্তা আধিকারিকেরা দ্রুত ছুটে যান এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে। এদিকে সেইসময় বাড়ির সামনে থাকা তাঁর নিজের দোকানে ছিলেন মৌসুমি সাহা। তাঁকে দেখা মাত্রই নিরাপত্তা কর্মীরা বলে ওঠেন, “আমাদের স্যারকে এক কাপ চা খাওয়াবেন”। এদিকে অভিষেক চা খেতে চাইছেম তাঁর দোকানে? এটা ভেবেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন মৌসুমী দেবী। দ্রুত লেগে পড়েন কাজে।

এ প্রসঙ্গে মৌসুমী দেবী জানান, প্রথমে তিনিন বিশ্বাস করতে পারেননি যে অত বড় মাপের একজন নেতা আমাদের মতো সাধারণ পরিবারে এসে চা খাবেন। শোনবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অভিষেককে আসার অনুরোধ করেন। এরপর অভিষেক আসেন। মৌসুমী দেবীর বাড়ির পরিস্থিতি শোনেন। মৌসুমী দেবীর মুখে তাঁর স্বামীর অসুস্থতার কথাও শোনে। এমনকী তাঁদের যে এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই তাও অভিষেককে জানান মৌসুমী দেবী। এমনকী তিনি এখনও লক্ষ্মী ভাণ্ডেরের টাকা পাননা তাও জানান। মৌসুমী দেবীর অভাব-অভিযোগের কথা মনে দিয়ে শুনে দ্রুত তার সুরাহা করার করার প্রতিশ্রুতিও দেন অভিষেক। প্রায় ১৫ মিনিটের বেশি সময় কাটান ওই এলাকায়। এদিকে তৃণমূলের যুবরাজকে নিজেদের এলাকায় পেয়ে খুশির অন্ত ছিল না এলাকাবাসীদের। এদিকে বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে অভিষেকের রাজ্যব্য়াপী এই জনসংযোগ কর্মসূচির ফল ব্যালট বক্সে কতটা দেখতে পাওয়া যায় এখন সেটাই দেখার।