TMC leader at Domahani: ‘ধমক’ দিয়ে ফোন অভিষেকের, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছুটলেন সভাধিপতি

TMC Leader at Domahani: মঙ্গলবারই দোমহনির হাটের অবস্থা দেখে জেলা পরিষদের সভাপধিপতিকে ফোন করে ধমক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই হাট পরিদর্শন করলেন উত্তরা বর্মণ।

TMC leader at Domahani: 'ধমক' দিয়ে ফোন অভিষেকের, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছুটলেন সভাধিপতি
দোমহনিতে ছুটলেন তৃণমূল নেত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 5:31 PM

জলপাইগুড়ি : বৃষ্টি হলে জল জমে যায়। দোকানের ওপর ছাউনিও নেই। দোমহনি হাটের বেহাল দশা দেখে মঙ্গলবারই জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ফোন করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোওপাধ্যায়। আর সেই ফোন পাওয়ার ২৫ ঘণ্টার মধ্যেই দোমহনি ছুটলেন সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ। হাটের ব্যবসায়ীদের অভাব- অভিযোগের কথা ফোনেই বলেছিলেন অভিষেক। এ দিন নিজে সে সব দেখে-শুনে এলেন উত্তরা বর্মণ। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বুধবার সকালে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান উত্তরা বর্মণ। পুরো হাট পরিদর্শন করে তিনি জানিয়েছেন, হাটে রয়েছে নিকাশি সংক্রান্ত সমস্যা। তাই বৃষ্টি জল জমে যায়। কেনাবেচা প্রায় বন্ধ করে দিতে হয়। এ ছাড়া ছাউনিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা, সেটাও এ দিন চাক্ষুষ করেন উত্তরা। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত সব ঠিক করে দেওয়া হবে। তবে আগে কখনও কোনও অভিযোগের কথা তাঁর কানে যায়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার ধূপগুড়ির সভায় যাওয়ার পথে আচমকা রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন অভিষেক। তিনি সোজা চলে যান দোমহনি হাটে। ব্যবসায়ীদের অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে ফোন করেন সভাধিপতি উত্তরা বর্মণকে। জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে জেলা পরিষদে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেন কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি? কোনও তৎপরতা দেখাননি কেন?’ দেড় মাসের মধ্যে হাটের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। অভিষেক স্পষ্ট জানান, দেড় মাস পর ফের পরিদর্শনে আসবেন তিনি।

এরপরই তৎপরতা দেখা গেল জেলা নেতৃত্বের মধ্যে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুধবারই সেখানে গেলেন উত্তরা। শুধু সভাধিপতিকেই নয়, বুধবার ধূপগুড়ির সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার জন্য মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের সমস্যার কথা শোনার কথাও বলেন কর্মীদের।