Crime: আদালতে তুলতে গিয়ে ‘হাওয়া’ দুই দুষ্কৃতী! ফের শুরু হল চোর-পুলিশ খেলা
Siliguri: চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুই দুষ্কৃতীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাদের তোলার কথা ছিল আদালতে। কিন্তু তার আগেই ফিল্মি কায়দায় পুলিশ ভ্যান থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল দুই দুষ্কৃতী।
শিলিগুড়ি: চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুই দুষ্কৃতীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাদের তোলার কথা ছিল আদালতে। কিন্তু তার আগেই ফিল্মি কায়দায় পুলিশ ভ্যান থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল তারা। চুরির অভিযোগে গ্রেফতার দুই অভিযুক্তের এভাবে পুলিশি হেফাজত থেকে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরে। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বড়সড় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। দিনেদুপুরে ব্যস্ত রাস্তা থেকে কীভাবে পুলিশ ভ্যান থেকে দুই অভিযুক্ত চম্পট দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় বারোটা তখন। শিলিগুড়ির হাসমি চকের কাছে পুলিশ ভ্যান থেকে চম্পট দেয় দুই ধৃত। ইতিমধ্যে গোটা শহরজুড়ে পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনার পর বেশ অস্বস্তিতে পুলিশ মহল। এদিকে খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি শুভেন্দ্র কুমার অবশ্য বলেন, “রাতে তল্লাশির সময় ওই দুজনকে আটক করা হয়। দুজনে মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলা করছিল সেসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়”।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এলাকা থেকে সোনার দোকানে চুরির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এনজেপি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম কৃষ্ণ দে ও দেবাশিস দাস। দু’জনেই এনজেপি এলাকার বাসিন্দা। সোমবার রাতে থানার হাজতে রাখার পর মঙ্গলবার সকালে ধৃতদের নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানোর আগে পুলিশ ভ্যানে করে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেই সময় পুলিশ ভ্যানে হেফাজতে ছিল ওই দুজন অভিযুক্ত। ওই দুজনের উপর নজরদারির জন্য ভ্যানে চালক ছাড়া একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পর সেই পুলিশ ভ্যান যখন সফদর হাসমি চকের কাছাকাছি তখনই পুলিশের নজর এড়িয়ে চম্পট দেয় দুই অভিযুক্ত। কিছুক্ষণ পরে টনক নড়ে পুলিশ কর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। কন্ট্রোল রুম থেকে এর পর জেলার সমস্ত থানা এবং ট্র্যাফিককে সতর্ক করা হয়। খবর পেয়ে শহরজুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশও। যদিও এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ওই দুই পলাতকদের। এদিকে পুরো ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এর আগে ২০১৮ সালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় এক চিকিৎসাধীন আসামী। তার পর শিলিগুড়ি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল এক বিচারাধীন বন্দির। কয়েক বছর আগে সেভক রোড থেকে পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে পালিয়েছিল ভক্তিনগর থানার দুই অভিযুক্ত। তারপর ফের এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরে।
আরও পড়ুন: Bidhan Sabha: আগুনে পুড়ে মৃত্যুর তথ্য নেই দমকল মন্ত্রীর কাছে! সুজিতকে বকুনি অধ্যক্ষের